Logo
Logo
×

শেষ পাতা

যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ভাঙ্গা পৌরসভার মেয়র

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি

Icon

আ. মান্নান, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি

আবু ফয়েজ মো. রেজা।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার যাত্রা শুরু ১৯৯৭ সালের ১ মার্চ। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভাটির আয়তন ৮.৫০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। মোট ভোটার প্রায় ২৭ হাজার। বর্তমানে এটি একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। পৌরসভায় দীর্ঘ ২২ বছর ধরে মেয়রের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ভাঙ্গা পৌর আ’লীগের সভাপতি আলহাজ আবু ফয়েজ মো. রেজা। ২০১৬ সারের ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। তার হাত ধরে পৌরসভায় উন্নয়নমূলক অনেক কাজ হয়েছে। কিন্তু এখনও রয়ে গেছে অনেক সমস্যা। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে যে সব সেবা পাওয়ার কথা পৌরবাসী সে সেবা পাচ্ছেন না। পৌর এলাকায় পার্ক, খেলাধুলার মাঠ, পানি শোধনাগার, পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট ও ডাস্টবিন নেই। অনেক রাস্তায় বৈদ্যুতিক বাতি নেই। ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা নেই। ভাঙ্গা বাজার থানা রোডে বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অনেক এলাকায় নেই পানির লাইন ও পর্যাপ্ত ড্রেনের ব্যবস্থা নেই। ভাঙ্গা বাজারের নদীর ঘাটে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে মালামাল ওঠানামা বন্ধ হয়ে গেছে। লোকজন এখন নদীতে গোসল করতে পারছে না। এসব কারণে পৌরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে।

ভাঙ্গা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহুরুল হক মিঠুন বলেন, ‘আমি ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এলাকাটি খুবই অবহেলিত। রাস্তায় পর্যাপ্ত সোডিয়াম লাইট নেই। যা আছে তার অধিকাংশই অকেজো। তাছাড়া এলাকাটি নোংরা। যেখানে-সেখানে আবর্জনা পড়ে থাকে। পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কখনই পাওয়া যায় না। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা তা আমরা পাচ্ছি না।’

ভাঙ্গা পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক সমিতির সভাপতি শহিদুল হক মিরু মুন্সী বলেন, ‘পৌরসভা থেকে আমরা ব্যবসায়ীরা পানি, বিদ্যুৎসহ অনেক সুবিধাই পাচ্ছি। আবার কিছু অসুবিধাও রয়েছে। ভাঙ্গা বাজারে পাবলিক টয়লেট কম। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় টিউবওয়েল নেই। ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থান না থাকায় ব্যবসায়ীরা নদীর ঘাটে, রাস্তায় যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করছেন। বাজারের চারপাশে অনেক ময়লা আবর্জনা।’

এসব অভিযোগের জবাব দিতে যুগান্তরের মুখোমুখি হয়েছিলেন পৌরসভার মেয়র আলহাজ আবু ফয়েজ মো. রেজা। তিনি বলেন, ‘পৌরসভার জন্য কী করেছি তা দৃশ্যমান। এলাকার যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।’

মেয়র বলেন, ‘আমার চেষ্টায় পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। নির্বাচিত হয়ে সাড়ে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। এর মধ্যে রয়েছে পাকা রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট ও বিদ্যুৎ লাইন। কিছু এলাকায় পানি সরবরাহ লাইন দিয়েছি। নতুন করে কিছু এলাকায় পানি সরবরাহ লাইনের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। এছাড়া অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এগুলো সম্পন্ন হলে অনেক সমস্যাই থাকবে না।’

ত্রুটিপূর্ণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা, ড্রেন সংকট সম্পর্কে মেয়র বলেন, ‘সব সমস্যার সমাধানই হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আবু ফয়েজ মো. রোজা বলেন, ‘পাইকারি মৎস্য মার্কেট, নিউমার্কেট, কাঁচা বাজারের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পারিনি। মামলার জটিলতায় ও দখলদারদের কারণে থানা সংলগ্ন বড় মার্কেটের কাজ শুরু করতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা পুরোপুরি সম্পন্ন করতে পারিনি। আগামী নির্বাচনের আগে বাকি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারব বলে আশা করছি।’

মেয়র বলেন, ‘জনগণের পাশে থেকে কাজ করছি বলেই এলাকায় আমার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। পৌরবাসী ৩ বার আমাকে প্রতিনিধি নির্বাচন করছে।’

ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভা মেয়র আলহাজ আবু ফয়েজ মো. রেজা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম