Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বুড়িগঙ্গার ৪ একর জমি উদ্ধার

দখলে ছিল এমপি আসলামের প্রতিষ্ঠানের

Icon

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বুড়িগঙ্গার ৪ একর জমি উদ্ধার

ঢাকার কেরানীগঞ্জের চর ওয়াশপুরে বুড়িগঙ্গার তীরে মঙ্গলবার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এ সময় মায়িশা পাওয়ার প্ল্যান্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের দখলে থাকা বুড়িগঙ্গা নদীর প্রায় ৪ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক মায়িশা পাওয়ার প্ল্যান্টের স্বত্বাধিকারী।

সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ ও ভরাট করে বুড়িগঙ্গার এ জমি দখলে রাখা হয়েছিল। অভিযানের সময় প্রায় ৫০০ মিটার সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়া ভরাট করা জমিতে নির্মাণ করা দুটি পাকা ঘর ও বিশাল আকৃতির দুটি তেলের ট্যাঙ্ক উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদে বাধা দেয়া এবং নদী ভরাটের অভিযোগে মোস্তাফিজুর রহমান ও এমদাদুল হক নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। 

সকাল ১০টায় শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিম। এ সময় সেখানে ছিলেন সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন ও উপপরিচালক মো. শহিদুল্লাহ। ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ ও আনসার বাহিনী অভিযানে সহযোগিতা করে।

অভিযান চলাকালে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন সংসদ সদস্য আসলামুল হক। এ সময় তিনি উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন। কিন্তু তার অনুরোধ উপেক্ষা করে উচ্ছেদ চলতে থাকলে একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন। তিনি দাবি করেন, জমি ব্যবহারের জন্য তিনি সরকারকে টাকা দেন।

এই জমি ব্যবহারের অনুমোদন তিনি পেয়েছেন। অভিযানের দায়িত্বরত কর্মকর্তা অনুমোদনের কাগজ দেখতে চাইলে সংসদ সদস্য আসলাম একটি আবেদনপত্র দেখান। তখন ওই কর্মকর্তা বলেন, আপনি জমি ব্যবহারের আবেদন করেছেন, কিন্তু অনুমোদন পাননি। কাজেই অভিযান চলবে। এ সময় সংসদ সদস্য আসলাম বলেন, ঠিক আছে যা খুশি তা-ই করেন, আদালতে দেখা হবে। এরপর তিনি পাওয়ার প্ল্যান্টের ভেতরে চলে যান।

ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, মায়িশা পাওয়ার প্ল্যান্টের বিরুদ্ধে বুড়িগঙ্গা ভরাট করে দখলের অভিযোগ ছিল। অভিযানের সময় আমরা এর সত্যতা পেয়েছি। এ কারণে পাওয়ার প্ল্যান্টের সীমানাপ্রাচীর উচ্ছেদ করে দখল করা প্রায় ৪ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধার করা জমি খুঁটি গেড়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরে খনন করে এখানে পানির প্রবাহ সৃষ্টি করা হবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিম বলেন, তীর নয়, নদীই ভরাট করা হয়েছে। নদীর অন্তত ৪ একর জায়গা ভরাট করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের মাধ্যমে দখল করা হয়েছিল।

ওই জমি আমরা উদ্ধার করে চিহ্নিত করে রেখেছি। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংসদ সদস্য আসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও কথা বলা যায়নি। মায়িশা পাওয়ার প্ল্যান্টের কর্মকর্তারা এ সময় জানান, এমপি স্যার এখন কথা বলবেন না। এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের মন্তব্য জানতে চাইলে তারা বলেন, স্যার (সংসদ সদস্য আসলাম) যেহেতু বলেছেন আদালতে যাবেন, সুতরাং আদালতেই সব চূড়ান্ত হবে।

 

বুড়িগঙ্গা আসলাম

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম