Logo
Logo
×

শেষ পাতা

কমিটির সদস্য শিক্ষক বাবা: ইবিতে নিয়ম ভেঙে ছেলেকে ভর্তির অভিযোগ

Icon

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কমিটির সদস্য শিক্ষক বাবা: ইবিতে নিয়ম ভেঙে ছেলেকে ভর্তির অভিযোগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে নিজের ছেলেকে ভর্তির অভিযোগ ওঠেছে। ভর্তি কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. অরবিন্দ সাহা ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ছেলেকে ভর্তি করিয়েছেন।

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটিতে দায়িত্ব পালনকারী ড. অরবিন্দ সাহার ছেলে অনিন্দ্য সাহা মেধা তালিকায় স্থান না পাওয়ায় পৌষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছেন।

নিয়ম অনুযায়ী কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তার আত্মীয়স্বজন সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা থাকলে ওই শিক্ষক বা কর্মকর্তা ভর্তি পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট কোনো কাজ করতে পারবেন না। পরীক্ষা কমিটির সভাপতি, সদস্য, প্রশ্নকর্তা, পরীক্ষক এবং টেবুলেটর হিসেবে কেউ কাজ করতে পারবেন না। একইসঙ্গে বিষয়টি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।

কিন্তু ছেলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও প্রফেসর ড. অরবিন্দ সাহা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাননি। ভর্তি কার্যক্রমের শেষ পর্যায়ে এসে বিষয়টি ধরা পড়ে। ‘সি’ ইউনিটের কোর কমিটি বিষয়টি আমলে নিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ডিন কক্ষে সভা করে।

বিষয়টি অনৈতিক ও শিক্ষক হিসেবে এমন আচরণ অনভিপ্রেত উল্লেখ করে পরীক্ষা সমন্বয় কমিটি, অনুষদের সব শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে পরে সভায় ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের মতামতের ভিত্তিতে বিষয়টি অভ্যন্তরীণভাবে সমাধান করা হয়েছে বলে জানান ইউনিট সমন্বয়কারী।

ভর্তি পরীক্ষা কমিটিতে ‘সি’ ইউনিটের সমন্বয়ক ছিলেন ড. অরবিন্দ সাহা। ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন অসঙ্গতি প্রকাশ পেলে সমন্বয়কের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দিয়ে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. জাকারিয়া রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে ডিন হিসেবে পরীক্ষা কমিটিতে ড. অরবিন্দ দায়িত্বে ছিলেন।

এ বিষয়ে প্রফেসর ড. অরবিন্দ সাহা যুগান্তরকে বলেন, ‘বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলাম। অসুস্থ থাকায় লিখিতভাবে জানানো হয়নি। আমাকে কেন কোর কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল তা জানি না, জানতেও চাইনি। এ বিষয়ে প্রফেসর ড. জাকারিয়া রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘বিষয়টি লিখিত বা মৌখিক কোনোভাবেই জানানো হয়নি। কেউ মৌখিকভাবে জানানোর কথা বলে থাকলে তা তিনি ঠিক বলেননি। বিষয়টি ভিসিকেও জানানো হয়নি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট কেউ আমাকে লিখিত বা মৌখিকভাবে বিষয়টি জানাননি। ওই শিক্ষকও কিছু জানাননি।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম