সানেম নেটিজেন ফোরামের আলোচনা
কালো টাকা থেকে প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ আসতে পারে
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলায় অর্থায়ন ব্যবস্থা জোরদারে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার সুপারিশ করেছে সানেম নেটিজেন ফোরাম।
সরকারি প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থায়নের ক্ষেত্রে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার সুপারিশ করে ফোরাম বলেছে- তবে মনে রাখতে হবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বারবার দেয়ায় অবৈধ সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
তাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। শনিবার সানেম নেটিজেন ফোরামের চতুর্থ পর্বের আয়োজন করা হয়।
এতে রাজধানীর বাড়িধারা ডিওএইচএস’র বাসা থেকে স্কাইপের মাধ্যমে পর্ব পরিচালনা করেন সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। রোববার সানেম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
স্কাইপের মাধ্যমে পরিচালিত আলোচনা পর্বে সানেমের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেমের গবেষণা পরিচালক ড. সায়েমা হক বিদিশা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক ও সানেমের গবেষণা ফেলো মাহতাব উদ্দিন।
শুরুতে করোনা মহামারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতি নিয়ে ড. রায়হান আলোকপাত করেন। তিনি জানান, চলমান মহামারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতি হিসাব করার জন্য সানেম কাজ করছে এবং এটি ক্রমাগত স্পষ্ট হচ্ছে দারিদ্র্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গত কয়েক দশকের অর্জন ম্লান হয়ে যেতে পারে।
টাকা ছাপানোর ফলে মূল্যস্ফীতি সৃষ্টির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এবং বিকল্প না থাকলে এ উপায় অনুসরণের কথা বলেন ড. রায়হান।
স্বাস্থ্য খাতে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাগুলোতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলা হলেও বাংলাদেশের নীতিপ্রণেতারা সেটি করেন না।
সানেমের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য খাতের জন্য জিডিপি’র চার শতাংশ বরাদ্দ দেয়ার কথা বলা হয়।
সানেম নেটিজেন ফোরামের আলোচনায় উঠে আসা প্রস্তাবগুলোর অন্যতম হল- বিশ্ববাজারে ক্রমহ্রাসমান তেলের দামের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় বাজারেও তেলের দাম একইভাবে কমানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে। এতে করে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যম আয়ের জনগণ কিছুটা সুবিধা পাবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য খাতভিত্তিক এবং অঞ্চলভিত্তিক নির্দিষ্ট বিধিমালা প্রণয়ন করতে হবে। শতকরা ৫ শতাংশ সুদে ঋণের বদলে কৃষকদের জন্য বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সেবাদানকারীদের সাহায্যে নীতিপ্রণয়নকারীদের এগিয়ে আসতে হবে। নিম্ন আয়ের মানুষদের বাসা ভাড়ার জন্য ভর্তুকি চালু করা দরকার।
