Logo
Logo
×

শেষ পাতা

৩০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ

ক্রেডিট রেটিং ছাড়াই বড় শিল্পে ঋণ দেয়া যাবে

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ মে ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ক্রেডিট রেটিং ছাড়াই বড় শিল্পে ঋণ দেয়া যাবে

ফাইল ছবি

বড় শিল্প ও সেবা খাতে চলতি মূলধনের জোগান দিতে ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে গ্রাহকদের মধ্যে দ্রুত ঋণ বিতরণের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে এসব খাতের গ্রাহকদের ক্রেডিট রেটিং বা ঋণ ঝুঁকি নিরূপণ ছাড়াই ঋণ দেয়া যাবে।

তবে প্রতিটি ব্যাংকের বিদ্যমান ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাহকের ঋণ ঝুঁকি নিরূপণ করতে হবে। তারপর বিতরণ করতে হবে ঋণ।

এ বিষয়ে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বড় শিল্প ও সেবা খাতে চলতি মূলধনের জোগান দিতে ৩০ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এর আলোকে ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নীতিমালা জারি করে। ওই নীতিমালায় বলা হয়, নতুন ও চলমান গ্রাহকদের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করে ঋণ বিতরণ করতে হবে। এটি করতে হবে ঋণের জন্য আবেদন করার দিন থেকে সর্বশেষ হিসাব বর্ষের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর তথ্যের ভিত্তিতে।

ওই প্যাকেজের আওতায় ঋণ পেতে হলে গাইডলাইন্স অন ইন্টারনাল ক্রেডিট রিক্স রেটিং সিস্টেমস ফর ব্যাংকস (আইসিআরআরএস) অনুযায়ী সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর তথ্যের ভিত্তিতে গ্রাহকের রেটিং করতে হয়। এতে গ্রাহকের ঝুঁকি ন্যূনতম মার্জিনাল বা প্রান্তিক হতে হবে। তাহলেই সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে ঋণ দেয়া যাবে।

নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দাফতরিক কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়ায় ওই নীতিমালার মাধ্যমে ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করার জন্য গ্রাহক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগান দিতে পারছে না। ফলে রেটিং করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে ঋণ বিতরণ কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে বিলম্বিত হচ্ছে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের কাজ। সূত্র জানায়, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিমালার শর্ত থেকে বিষয়টি প্রত্যাহার করেছে।

তবে সার্কুলারে বলা হয়েছে, ক্রেডিট রেটিং করে এখন ঋণ বিতরণ সম্ভব না হলেও প্রতিটি ব্যাংকেরই নিজস্ব ঋণ নীতিমালা রয়েছে। ওই নীতিমালার আলোকে গ্রাহকদের রেটিং করতে হবে। এরপর ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ দেয়ার জন্য গ্রাহক নির্বাচন করতে হবে। এ প্যাকেজের আওতায় যেমন চলমান ব্যাংক গ্রাহকদের ঋণ দেয়া যাবে, তেমনি নতুন গ্রাহকদেরও ঋণ দেয়া যাবে। আগে ব্যাংক ঋণ ছাড়া নিজস্ব অর্থে ব্যবসা পরিচালনা করলেও এখন করোনাভাইরাসের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরও ঋণ দিতে হবে।

করোনার প্রভাব মোকাবেলায় বড় শিল্প ও সেবা খাতে চলতি মূলধনের জোগান দিতে ৩০ হাজার কোটি টাকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে বাংলাদেশ ব্যাংক জোগান দেবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এই অর্থ ঋণ দেবে ৪ শতাংশ সুদে। বিপরীতে এ তহবিল থেকে ঋণ নিলে গ্রাহককে দিতে হবে সাড়ে ৪ শতাংশ। ব্যাংকগুলোকে সুদ ভর্তুকি হিসাবে সরকার থেকে দেয়া হবে সাড়ে ৪ শতাংশ।

ক্রেডিট রেটিং বড় শিল্প ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংক

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম