করোনা প্রতিরোধে পূর্ত কাজে এগিয়ে গণপূর্তের প্রকৌশলীরা
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কারোনা প্রতিরোধে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হাসপাতালেগুলোতে প্রয়োজনীয় পূর্ত কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া নতুন করে জরুরিভিত্তিতে যেসব কাজের নির্দেশনা আসছে তাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য দেশজুড়ে গণপূর্তের প্রকৌশলীরা রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে গৃহায়ন ও পূর্ত মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায় থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে আশকোনার হজ ক্যাম্প কোয়ারেন্টিনের উপযোগী করা, ১৮টি হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবরেটরির অবকাঠামো নির্মাণ, ৪৭টি হাসপাতালে সাড়ে ৯শ’ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট নির্মাণ, ৮টি হাসপাতালে ৮৫০ শয্যার কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন, ১১টি হাসপাতালে ৩৫০ শয্যার করোনা ইউনিট স্থাপন, আইইডিসিআরের নতুন ১০ তলা ভবনের নিচতলায় স্যাম্পল কালেকশন কক্ষ ও ক্যান্টিন এবং ডিউটি ডাক্তারদের থাকার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের তিনটি কক্ষকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে ২৯ শয্যার আইসিইউ নির্মাণ এবং করোনা রোগীদের ব্যবহার সামগ্রী পোড়ানোর জন্য ইনসিনারেটর নির্মাণ, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ১৮০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ শয্যার আইসিইউ নির্মাণ করা হয়েছে।
গণপূর্তের প্রকৌশলীরা জানান, কেভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোতে পিসিআর ল্যাবরেটরির অবকাঠামো নির্মাণ, আইসোলেশন ইউনিট, কোয়ারেন্টিন সেন্টার, করোনা ইউনিট স্থাপন ছাড়াও এসব স্থাপনাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণসহ জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজটিও নিয়মিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা মেডিকেলসহ ১৮টি হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবরেটরির অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।
মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ জেলা হাসপাতাল, কুড়িগ্রাম জেলা হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ ৪৭টি হাসপাতালে সাড়ে নয়শ’ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট নির্মাণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ জেলা হাসপাতাল, নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতাল, টাঙ্গাইলের ট্রমা সেন্টারসহ জেলা হাসপাতালগুলোর মধ্যে ৮টি হাসপাতালে ৮৫০ শয্যার কোয়ারেন্টিন সেন্টার, ১১টি হাসপাতালে ৩৫০ শয্যার করোনা ইউনিট স্থাপনসহ বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ বেড বসানো হয়েছে। আইইডিসিআরের নতুন ১০ তলা ভবনের নিচতলায় নমুনা সংগ্রহ রুম ও ক্যান্টিন এবং দায়িত্বরত ডাক্তারদের থাকার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের তিনটি কক্ষকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে ২৯ শয্যার আইসিইউ নির্মাণ এবং করোনা রোগীদের ব্যবহারের সামগ্রী পোড়ানোর জন্য ইনসিনারেটর নির্মাণ করা হয়েছে। মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ১৮০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ শয্যার আইসিইউ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে আনা শিক্ষার্থীদের জন্য আশকোনার হজ ক্যাম্প কোয়ারেন্টিনের উপযোগী করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে সংস্থাটি। এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘সংস্থাটির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে প্রকৌশলীদের বৈশাখী ভাতার ৫০ শতাংশে ৬০ লাখ টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেশের এ দুর্যোগকালীন সময়ে রাজধানীসহ সারা দেশে গণপূর্তের প্রকৌশলীরা করোনা মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছেন। সংস্থার পক্ষ থেকে সুরক্ষা পোশাক নিয়ে তারা হাসপাতালগুলোতে নিয়মিত কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।’ তিনি জানান, ‘গণপূর্ত অধিদফতরের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এ কাজে সব শক্তি দিয়ে সহায়তা করতে ইতোমধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বলা হয়েছে।’
