Logo
Logo
×

শেষ পাতা

জাতীয় আইনজীবী সমিতি

পাচার করা অর্থ দেশে বিনিয়োগ হলে সংকট উত্তরণ সহায়ক হতো

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পাচার করা অর্থ দেশে বিনিয়োগ হলে সংকট উত্তরণ সহায়ক হতো

আগামী বাজেটে বিশেষ কিছু সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা ও দেশে লুকিয়ে রাখা (অপ্রদর্শিত) অর্থ বিনিয়োগে উদ্যোগ নেয়ার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি। শনিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এসব অর্থ দেশের অর্থনীতিতে যোগ হলে তা বর্তমান সংকট উত্তরণে সহায়ক হতো। সংবাদ সম্মেলনে এ মতামত তুলে ধরেন সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মো. খসরুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। দেশ যাতে অর্থনৈতিক সংকটে না পড়ে এবং জিডিপির হার যাতে কমে না যায়, সেজন্য সরকারকে কতগুলো পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের অর্থনীতিকে ধরে রাখার জন্য নতুন বাজেটে কতগুলো অর্থনৈতিক পন্থা বা পদক্ষেপ থাকা প্রয়োজন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশের মোট অর্থ সম্পদের ৮০ ভাগ মাত্র ২ ভাগ ব্যক্তির কাছে আছে। যার কিছু অংশ মুদ্রাবাজারে সচল। আর বাকি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে ও হচ্ছে। এছাড়া জমি ক্রয়ের মাধ্যমে কিছু অর্থ লুকানো রয়েছে। এসব অর্থ মুদ্রা বাজারে আনার সুযোগ সৃষ্টি করতে কিছু বিশেষ সুবিধা দিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রচার অভিযানে নামতে হবে।

এতে বলা হয়, সেকশন ১৯ ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৪-এর আওতায় কিছু সুবিধা দেয়া যেতে পারে। এগুলো হল- ক. যেসব জমি করের আওতায় আসেনি, সেসব জমি ক্রেতারা তথ্য গোপন করেছেন। জমির দলিল মূল্যের ৫ শতাংশ অগ্রিম কর দিলে কর বিভাগের তা বিনা ব্যাখ্যায় মেনে নেয়া উচিত। এসব জমি করের আওতায় এলে সেখানে শিল্প কারখানা, বাজার, আবাসিক ভবন গড়ে উঠবে। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে ও দেশের বেকার সমস্যা দূর হবে। খ. নতুন অর্থবছরে কেউ শিল্প স্থাপন করলে সেখানে বিনিয়োগ করা অর্থ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিনা ব্যাখ্যায় মেনে নেবে। এ সুবিধা ইকোনমিক জোনে প্রতিষ্ঠিত শিল্পের জন্য বলবৎ থাকলেও বিদেশে অর্থ পাচারকারীরা আকৃষ্ট হননি। সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে দেশের যে কোনো স্থানে শিল্পপ্রতিষ্ঠার সুযোগ উন্মুক্ত করলে দ্রুতগতিতে দেশ শিল্পায়িত হবে। গ. পুরনো শিল্পকে আধুনিকায়ন করার জন্য বিনিয়োগ করা অর্থ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিনা ব্যাখ্যায় গ্রহণ করবে।

ঘ. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কৃষি ও গবাদি পশুপালন ভিত্তিক পণ্য উৎপাদনের জন্য বিনিয়োগ করা অর্থ বিনা ব্যাখ্যায় গ্রহণ করলে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদায় দ্রুত স্বয়ং সম্পন্ন হওয়া সম্ভব। ঙ. শিল্প ও ব্যবসায়িকপ্রতিষ্ঠানের স্টক ও শেয়ার কিনলে ৫ বা ৭ শতাংশ কর দিলে ওই বিনিয়োগ বিনা ব্যাখ্যায় গ্রহণ করবে এনবিআর। ছ. বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করলে এ বিনিয়োগ মেনে নেয়ার বর্তমান আইনটিতে করের হার অনেক বেশি। এটা অপেক্ষাকৃত কম করলে করদাতারা আকৃষ্ট হবেন।

বাজেট

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম