Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বগুড়ায় সিইসি

উপনির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

উপনির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, সাংবিধানিক কারণে এ করোনাকালে আগামী ১৪ জুলাই বগুড়া-১ আসনের নির্বাচনের তারিখ পেছানোর সুযোগ নেই। বাধ্য হয়েই নির্বাচন করতে হচ্ছে। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝড়-বৃষ্টি হলেও নির্বাচন চলবে। সংশ্লিষ্টরা সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন ও নির্বাচন গ্রহণের চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। আর পরিবেশ ও প্রস্তুতি ভালো- তাই এ নির্বাচন সুন্দর হবে। তিনি শনিবার বিকালে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে নির্বাচন ৯০ দিন পিছিয়ে দিতে পারে। তাই করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২৯ মার্চ বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। এখন আর তারিখ পেছানোর সুযোগ নেই; আগামী ১৪ জুলাই নির্বাচন করতেই হবে। বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে গেলেও ব্যালটে তার নাম ও প্রতীক থাকবে।

এরপরও নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের সুযোগ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আইন হলে পরিবর্তনের সুযোগ থাকে; কিন্তু সংবিধানের ওপর কথা নেই। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করতে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে সংশোধন করতে হয়। তাই বন্যা, বৃষ্টি, করোনা মাথায় রেখেই নির্বাচন করতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি ইতালি, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচনের উদাহরণ দেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা মাইকিং করবেন। আর জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাগরিক অধিকার পালন করতে কেন্দ্রে যাবেন। কত শতাংশ ভোট সংগ্রহ হলে নির্বাচন হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। ২ শতাংশ ভোটগ্রহণ হলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে। ভোট দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো ভোটার মারা গেলে তার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন নেবে কিনা? এর উত্তরে সিইসি বলেন, ভোটার নিজ দায়িত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট দিতে যাবেন। তার কিছু হলে কেউ দায়িত্ব নেবে না। কেন্দ্রে করোনা মোকাবেলার সবকিছুই থাকবে।

এর আগে বগুড়ার নবাগত জেলা প্রশাসক জহুরুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় নির্বাচন নিয়ে ব্রিফ করেন জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মাহবুব আলম শাহ্। সভায় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, নির্বাচন থেকে বিএনপি প্রার্থী একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির সরে গেছেন। তাই বিএনপির ভোটাররা স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক মার্কা) ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজের পক্ষে কাজ করবেন। নির্বাচন স্থগিতের আগে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাহাদারা মান্নানের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া বিএনপি প্রার্থী সোনাতলা উপজেলায় গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে। ওই কর্মকর্তা সিইসিকে আশ্বস্ত করেন বর্তমানে তেমন হুমকি নেই।

উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, ডিজিএফআইয়ের জেনারেল স্টাফ কর্নেল নাজিম উদ্দিন প্রমুখ। এছাড়া বিজিবি-১৬ নওগাঁ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল আরিফুল ইসলাম, এনএসআইয়ের উপপরিচালক মুজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ, সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া, সোনাতলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর আলম, র‌্যাব-১২ বগুড়ার স্কোয়াড কমান্ডার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

‘ভোটে আস্থাহীনতা নেই’ : কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি জানান, যশোর-৬ সংসদীয় আসনের নির্বাচনপূর্ব আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা ও আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বেলা ১১টায় কেশবপুরে যান। পরে আবু শরাফ সাদেক অডিটোরিয়ামে যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, জনগণের ভোটের প্রতি আস্থাহীনতা নেই। তিনি বলেন, আশানুরূপ ভোটার ভোট কেন্দ্রে আসবেন। সামাজিক দূরত্ব মেনে সবাই যাতে ভোট দিতে পারেন তার জন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন, ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দীন, যশোরের পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান পপি। ২১ জানুয়ারি কেশবপুরের সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুর কারণে এ আসনটি শূন্য হয়।

উপনির্বাচন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম