Logo
Logo
×

শেষ পাতা

সাহেদের সহযোগীদের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে

-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সাহেদের সহযোগীদের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের সহযোগীদের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রোববার রাজধানীর কাকরাইলে প্রেস ইন্সটিটিউট (পিআইবি) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজ অনেকের মনেই প্রশ্ন আসছে এই সমস্ত ভুয়া লোক কীভাবে সরকারের সঙ্গে কাজ করে কিংবা সরকার তাদের স্বীকৃতি দেয়। সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি। যদিও আপনাদের অনেকের মনেই সন্দেহ আছে, সেগুলো আমরা খুব সিরিয়াসলি নিয়েছি। কারা কারা এদের সঙ্গে জড়িত ছিল, কার সহযোগিতায় এ জায়গাটিতে তিনি এসেছেন সবই আমরা তদন্ত করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার তার সবই করেছেন।’ আসাদুজ্জামান বলেন, সংবাদপত্রের ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করলে সবাইকে তা দেয়া হয় না। বিচার-বিবেচনা করে হাতেগোনা কয়েকজনকে দেয়া হয়। তারপরেও আজ পর্যন্ত কয়েক হাজার সংবাদপত্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, এটাও সত্য। অনেকে সংবাদপত্রকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। সেখানে আপনাদেরও চিহ্নিত করে দেয়া দরকার, যাতে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি। মন্ত্রী বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সাংবাদিকদের মধ্যেও কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ করা হয়েছে, অনুরূপভাবে সেটিও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সাহেদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল : এদিকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতারের পর সাহেদ করিমের নামে ইস্যু করা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য অধিদফতর (পিআইডি)। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার রোববার যুগান্তরকে বলেছেন, কার্ডের নীতিমালায় বলা আছে, কেউ যদি অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকেন, তাহলে কার্ড বাতিল হয়ে যাবে। প্রাথমিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে সাহেদ করিমের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। এ অবস্থায় নীতিমালা অনুযায়ী তার নামে ইস্যু করা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। সাহেদ (মোহাম্মদ সাহেদ) ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক নতুন কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে কার্ড নিয়েছিলেন। সর্বশেষ তার কার্ড ইস্যু হয় গত বছর ডিসেম্বরে। কার্ড নং-৬৮৪৫।

ভুয়া সনদে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চেয়ে নোটিশ : রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা টেস্টের ভুয়া সনদে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রকাশ চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে এ ভুয়া সনদে ক্ষতিগ্রস্তদের ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতেও বলা হয়েছে নোটিশে।

মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পরিচালকের পক্ষে ব্যারিস্টার আবদুল হালিম রোববার (১৯ জুলাই) স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ নোটিশ পাঠান।

ব্যারিস্টার আবদুল হালিম জানান, যেসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করোনা টেস্ট করানো হয়, সেগুলোর তালিকা, স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতালগুলোর নাম ও সংখ্যা প্রকাশ, করোনা টেস্ট এবং করানো চিকিৎসার হাসপাতালগুলো মনিটরিংয়ে প্রত্যেক পুলিশ স্টেশনে একটি কমিটি গঠন, রিজেন্ট থেকে ভুয়া করোনার সনদ দেয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রকাশ, রিজেন্টের এ প্রতারণার কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া, করোনার সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি সপ্তাহে যাতে সেবা নিয়ে পরিপূর্ণ একটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায়, সেজন্য একটি নীতিমালা করা এবং সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে আদায় করতে পারে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সরকারপ্রধান অনেক টাকা প্রণোদনা দিচ্ছেন। টাকা খরচ করছে স্বাস্থ্যসেবার জন্য। কিন্তু মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতরে সঠিক সুপারভিশন না করার কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। এটার দায় তারা এড়াতে পারে না। যোগ করেন ব্যারিস্টার আবদুল হালিম।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম