Logo
Logo
×

শেষ পাতা

ডা. সাবরিনা দুই দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে

হিরুকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ডা. সাবরিনা দুই দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ও বিতর্কিত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন হোসাইনকে (সাবরিনা চৌধুরী) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

দুই দফায় রিমান্ড শেষে এদিন সাবরিনাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনে বলা হয়, ডা. সাবরিনা মামলাসংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। ওইসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ অবস্থায় তিনি জামিন পেলে মামলার তদন্ত বিঘ্ন ঘটবে। অপর দিকে আসামিপক্ষে মো. সাইফুজ্জামান, ওবায়দুল হাসান বাচ্চু, আবদুস সালামসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ আসামির জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে এদিন মামলার অপর আসামি জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরুকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান আসামিকে তিন দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

১৭ জুলাই দ্বিতীয় দফায় দু’দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় ডা. সাবরিনাকে। এর আগে ১৩ জুলাই প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ডে ছিলেন তিনি। ১২ জুলাই দুপুরে সাবরিনাকে হাসপাতাল থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাকে তেজগাঁও থানার এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। আদালত সূত্র জানায়, ডা. সাবরিনা তার সহযোগী আসামিদের নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে পজিটিভ, নেগেটিভ জাল রিপোর্ট সরবরাহ করেছেন। আর এর মাধ্যমে তারা নিরীহ লোকজনের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ কাজ করে তারা শুধু টাকা আত্মসাৎই করেননি, জীবন বিপন্নকারী রোগের সংক্রমণ বিস্তারে সহায়তা করেছেন। আসামি স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন সূত্রে প্রভাব খাটিয়ে তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর মালিকানাধীন জেকেজি হেলথ কেয়ারকে বিভিন্ন সরকারি কাজের আদেশ পাইয়ে দিতেন। যার ফলে জেকেজি বেপরোয়াভাবে ক্ষতিসাধন করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে সাক্ষ্য-প্রমাণ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আসামি তার সহযোগীদের সহায়তায় করোনাভাইরাস মহামারীর এ সময়ে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে এহেন সমাজবিরোধী এবং ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলেন। এ ছাড়া আসামির প্রতিষ্ঠান থেকে বিদেশ গমনকারীদের করোনাভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট দেয়া হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। মামলার অপর আসামি বিপ্লব দাস, মামুনুর রশীদ, হুমায়ুন কবির হিমু, তানজিন পাটোয়ারী, আরিফুল চৌধুরী এবং সাঈদ চৌধুরীর কাছ থেকে করোনা রোগীদের জাল সার্টিফিকেট (পজিটিভ/নেগেটিভ) উদ্ধার করা হয়েছে। আসামি তানজিন পাটোয়ারী ও হুমায়ুন কবির আদালতে জবানবন্দিতে সাবরিনা ডা. শারমিনের নাম প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, সাবরিনা জাল জালিয়াতির সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম