Logo
Logo
×

শেষ পাতা

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে

খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ চালু করতে চায় স্বাস্থ্য অধিদফতর

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ চালু করতে চায় স্বাস্থ্য অধিদফতর

করোনা মহামারীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ চালু করার বিষয়ে মত দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অধিক জনসমাগম না করে সীমিত আকারে খেলাধুলা আয়োজন করা যেতে পারে। মাঠে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় দর্শকদের সারিবদ্ধভাবে বের হতে হবে এবং পরস্পর থেকে এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাঠে নির্দিষ্ট দূরত্ব (এক মিটার) বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি দু’জন দর্শকের মাঝে এক সিট ফাঁকা রাখতে হবে। এসব মতামত দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ বিষয়ক সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যুগ্ম-মহাসচিব ডা. রিজওয়ানুল করিম শামীম যুগান্তরকে বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে খেলার মাঠ ও এ সংক্রান্ত সবকিছুর জন্য আমাদের মতামত জানতে চেয়েছিল। আমরা সব বিষয় বিবেচনা করে প্রস্তাবনা দিয়ে তাদের পাঠিয়েছি। তবে এটা এখনও খসড়া আকারে রয়েছে।’

মতামতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, খেলা শুরুর আগে মাঠ এবং চালুর আগে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মহামারী প্রতিরোধ-সরঞ্জাম যেমন : মাস্ক, গ্লাভস, জীবাণুনাশক এবং নন-কন্ট্যাক্ট ইনফ্রারেড থার্মোমিটার সংরক্ষণ করতে হবে। সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে এবং তার তদারকি ও বাস্তবায়নের জন্য একজনকে নির্দিষ্ট করলে ভালো হয়। একই সঙ্গে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।

খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ক্যাম্প শুরুর আগে প্রয়োজনমতো সবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা যেতে পারে।

খেলার মাঠে প্রবেশের পথে খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং বহিরাগত দর্শকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাদের তাপমাত্রা ৯৮ দশমিক চার ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হবে তাদের মাঠে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পাঠাতে হবে।

খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণকালীন ক্যাম্পে অবস্থানের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাকার ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাবারের আগে ও খাবারে ব্যবহৃত থালা-বাসন পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। সম্ভব হলে ডিসপোজেবল প্লেট ব্যবহার করা ভালো। তাদের ঘুম, বিশ্রাম ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখতে হবে। আর পরিবারসহ অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।

খেলোয়াড় ও অন্যদের প্রতি নির্দেশনাতে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত পানির বোতল ও তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তিগত সরঞ্জাম নিজের ব্যাগে রাখতে হবে। টিস্যু, রুমাল বা অন্যান্য উপরকণ যেমন- প্লাস্টার, ব্যান্ডেজ প্রভৃতি মুখবন্ধ ময়লার পাত্রে ফেলতে হবে। মাঠের আবর্জনা প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে এবং আবর্জনা সংরক্ষণকারী পাত্র প্রতিদিন জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

স্টেডিয়ামে আসা সবাইকে স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করার জন্য সহজে দৃশ্যমান এমন স্থানে বিলবোর্ড, রেডিও, ভিডিও ও পোস্টারের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রচার করার ব্যবস্থা করতে হবে।

 

করোনা খেলা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম