Logo
Logo
×

শেষ পাতা

চাকতাই-খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের সংকট কেটে গেছে

Icon

আহমেদ মুসা, চট্টগ্রাম

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চাকতাই-খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের সংকট কেটে গেছে

ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে কেটে গেছে পেঁয়াজ সংকট। ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজের চালান দেশে প্রবেশ করায় সর্বত্রই স্বস্তি ফিরে এসেছে। পেঁয়াজ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে হা-হুতাশও কমেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি নিয়ে দু’দিন আগে যে উত্তাপ দেখা দিয়েছিল, ভারত ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ দেশে ঢোকায় এবং অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় তা এখন আর নেই। পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম প্রতিদিনই কমতে শুরু করেছে।

চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ চট্টগ্রামে আসতে শুরু করেছে। শনিবার রাতে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বোঝাই ৩-৪টি ট্রাক চট্টগ্রামের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে প্রবেশ করেছে।

খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা দামে। আগের দিন পাইকারি বাজারে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়। পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরায় এর প্রভাব কমই। খুচরা বাজারে এখনও ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকার উপরে এবং দেশিটা ১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিয়ানমার, চীন, মিসর, পাকিস্তান, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস ও নিউজিল্যান্ড থেকে ২১৭টি আইপির বিপরীতে ৭৯ হাজার ৩৯০ টন পেঁয়াজ আনার অনুমতি পেয়েছেন আমদানিকারকরা। এদিকে ভারতীয় স্থলবন্দরে আটকে পড়া পেঁয়াজ খালাস শুরু হয়েছে।

রোববার ১০০ ট্রাক পেঁয়াজ দেশে ঢুকেছে বলে জানান খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। দুইদিন ধরে পেঁয়াজের বাজার নিম্নমুখী হওয়ায় পাইকারি বাজার চাকতাই-খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে। দুইদিন ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়।

কয়েকজন আড়তদার জানান, ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসছে- এমন খবরে বেচাবিক্রি কমে গেছে। কথা হয় চাকতাই রবি ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী রবিউল আলমের সঙ্গে। তিনি জানান, চাকতাই-খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের সংকট নেই। পেঁয়াজের বেচা-বিক্রি অনেক কম। কোভিড পরিস্থিতিতে টেকনাফ স্থলবন্দর বন্ধ আছে।

তবে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আরও কয়েকটি চালান আসার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে ২০ টনের চালান এসেছে। মিয়ানমার ছাড়াও মিসর, তুরস্কসহ অন্যান্য দেশের পেঁয়াজ আসা শুরু হলে দাম নাগালের মধ্যে চলে আসবে।

চাকতাই- খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ৩-৪টি পেঁয়াজের ট্রাক খাতুনগঞ্জে ঢুকেছে।

মিয়ানমারের এই পেঁয়াজ পাইকারিতে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার জন্য দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও আরও কমের আশায় কোনো পাইকার এখনও এই পেঁয়াজ ক্রয় করেনি। তবে বাজারে পেঁয়াজের সংকট নেই। পেঁয়াজ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কও কেটে গেছে।

১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর দেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০- ৪০ টাকা বেড়ে যায়।

গত বছর সেপ্টেম্বরেও ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছিল। তখনও পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। তখন মিয়ানমার, চীন, মিসর, পাকিস্তান ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ এনে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হলেও একপর্যায়ে পেঁয়াজের কেজি ওঠে ৩০০ টাকায়।

হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, চাকতাই-খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের সংকট নেই। বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আসছে। ভারত থেকেও কিছু পেঁয়াজ আসছে। রোববার রাতের দিকে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা আরও কিছু পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে ঢুকতে পারে।

পেঁয়াজ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম