দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর একাই হামলা চালিয়েছিলেন আসামি রবিউল ইসলাম। এমন তথ্য জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম জাফর। তিনি জানান, রোববার দুপুরে দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বরখাস্ত কর্মচারী (মালী) রবিউল ইসলাম।

দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে রবিউলকে সকাল ১০টায় আদালতে নেয়া হয়। জবানবন্দি শেষে বেলা সাড়ে ৩টায় তাকে আদালত থেকে বের করে আনা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি ইমাম জাফর সাংবাদিকদের বলেন, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় আসামি রবিউল ইসলাম রিমান্ডে আমাদের কাছে দায় স্বীকার করেছে। এবার আদালতেও জবানবন্দি দিয়েছে সে। আদালত তার স্বেচ্ছায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। রবিউল একাই হামলা চালিয়েছে বলেও জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।

ওই হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৫ আসামির মধ্যে সর্বশেষ গ্রেফতার করা হয় রবিউলকে। ১২ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে ৬ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। সেদিন ৭ ঘণ্টা আদালতে রেখেও রবিউল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দেয়ায় দ্বিতীয় দফায় তাকে আবার তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। দ্বিতীয় দফার রিমান্ড শেষে রোববার আদালতে হাজির করলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রবিউল। এর আগে এ ঘটনায় গত কয়েক দিনে আদালতে পাঁচজন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যরা হল- ঘোড়াঘাট পৌর যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা আসাদুল ইসলাম, রংমিস্ত্রি নবীরুল ইসলাম, সান্টু কুমার দাস ও ইউএনও’র বাসভবনের নৈশ্যপ্রহরী নাদিম হোসেন পলাশ।

২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলা চালানো হয়। মাথায় হাতুড়ির আঘাতে গুরুতর আহত ওয়াহিদা এখন ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার বাবাও ঢাকায় চিকিৎসাধীন।