Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বরুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

Icon

কুমিল্লা ব্যুরো

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বরুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

কুমিল্লার বরুড়ায় জহিরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শিলমুড়ী উত্তর ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের হাসেম মার্কেটে বৃহস্পতিবার বিকালে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। জহিরুল বরুড়া পৌর এলাকার জিনসার গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। তিনি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হামলার সময় জহিরুলের সঙ্গে থাকা জিনসার গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে রানাকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সম্পত্তিসংক্রান্ত একটি বিরোধ মেটাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহিরুল ইসলামসহ কয়েকজন বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার জীবনপুর গ্রামে যান। সেখানে ওই বিষয়ে কয়েকজনের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তারা পাশের হাসেম মার্কেটের ছানাউল্লাহর চা দোকানে বসেন। চা পান করার সময় কয়েকজন সন্ত্রাসী দা, ছেনিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে তাদের এলোপাতাড়ি পেটাতে ও কোপাতে থাকে। এতে জহিরুল ইসলামের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। স্থানীয়রা জহিরুল ও রানাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জহিরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

জহিরুলের ভাই জোবায়ের হোসেন জানান, জীবনপুর গ্রামে শিব্বির হোসেন বনাম আবাদের পরিবার জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আমার ভাই কোনো পক্ষ নেয়নি, ঘটনার সুরাহা করার জন্যই স্থানীয়দের অনুরোধে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন, কিন্তু কী কারণে আমার ভাইকে হত্যা করা হল আমরা জানি না। আমি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

জহিরুলকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপই নিজেদের সদস্য দাবি করছে। পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো শাহজাহান বলেন, আমাদের দলের নিবেদিত কর্মী ছিলেন জহিরুল ইসলাম। তিনি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা, দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। এলাকায় ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবেই পরিচিত। কী কারণে তাকে হত্যা করা হল, তা উদঘাটন করতে হবে। যদি কোনো মহলের ইন্ধন থাকে সেটিও উদ্ঘাটন করতে হবে। এজন্য পুলিশকে যতটুকু সহযোগিতা করতে হয় আমরা করব।

৫নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, জহিরুলের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে, একজন নিরপরাধ নেতাকে এভাবে হত্যা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।

বরুড়া থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলেও গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সম্পত্তিসংক্রান্ত বিরোধ মেটাতে গিয়ে তিনি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। এটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয়। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম