২৭ ঘণ্টার মধ্যে ৩ বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড রহস্যজনক
-মির্জা ফখরুল
যুগান্তর রিপোর্ট
২৭ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২৭ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর পল্লবীর কালশী এলাকার বাউনিয়া বাঁধ বস্তি, মহাখালীর সাততলা বস্তি ও মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে বিহারিপট্টিতে অগ্নিকাণ্ড রহস্যজনক। বস্তির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্টরা ষড়যন্ত্র করে এসব আগুন লাগিয়েছে বলে ভুক্তভোগী বস্তিবাসীর ধারণা। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। সম্প্রতি এসব অগ্নিকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অগ্নিকাণ্ডে এসব বস্তির অসংখ্য নিম্ন আয়ের মানুষ ঘরবাড়ি, সম্পদ, অর্থ, পরিধেয় বস্ত্র এমনকি রান্না করার সম্বলটুকু হারিয়ে দিশেহারা। শীতের মধ্যে তারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তিনি বলেন, আগুন লাগিয়ে দখল-পাল্টা দখল, অসৎ প্রক্রিয়ায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া, অবাধে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্ষমতাসীনরা বেপরোয়া। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে- গত ৩ বছরে ঢাকায় বিভিন্ন বস্তিতে ৯৫৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ পর্যন্ত একটিরও অভিযোগপত্র দিতে পারেনি। মূলত ক্ষমতাসীন মদদপুষ্ট ভূমিদস্যু মহলের যোগসাজশ ও অবৈধ প্রভাব এর মূল কারণ।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজধানীর বস্তিগুলোতে বিভিন্ন সময় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়ে একদিকে ভূমিদস্যুরা প্রচুর অর্থ-বিত্তের মালিক বনে যাচ্ছে, অন্যদিকে খেটে খাওয়া অসহায় মানুষ এক বস্তি থেকে অন্য বস্তিতে ছুটে বেড়াচ্ছেন মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য। এরপরও সরকার, প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ন্যূনতম ভ্রূক্ষেপ না করে নির্বিকার থাকছে।
ভ্রূক্ষেপহীনতাকে চরম মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার কিংবা সিটি কর্পোরেশন না থাকায় চরম বিপদের মুখোমুখি হয়েও ভুক্তভোগী মানুষ সাহায্য-সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অগ্নিকাণ্ডে সম্বলহীন এসব মানুষ এখনও পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে কোনো ত্রাণসামগ্রী পাননি।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা উন্নয়নের জোয়ারের কথা বলতে বলতে হয়রান হয়ে যাচ্ছেন। অথচ দেশে প্রকৃত অর্থে কিসের উন্নয়ন হচ্ছে তা এসব বস্তি ও বস্তিবাসীর দিকে তাকালেই সেই চিত্র ফুটে ওঠে।
তিনি বস্তি দখলের সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনাসহ মধ্যস্বত্বভোগীদের অপসারণের দাবি জানান। একই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের শিকার অসহায় মানুষদের স্থায়ী পুনর্বাসন, পর্যাপ্ত ত্রাণ, আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং বস্তিতে সেবা সংস্থাগুলোর বৈধ ও সুরক্ষিত সেবা নিশ্চিত ও নিরাপদ জীবনযাপনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
২৭ ঘণ্টার মধ্যে ৩ বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড রহস্যজনক
-মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২৭ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর পল্লবীর কালশী এলাকার বাউনিয়া বাঁধ বস্তি, মহাখালীর সাততলা বস্তি ও মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে বিহারিপট্টিতে অগ্নিকাণ্ড রহস্যজনক। বস্তির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্টরা ষড়যন্ত্র করে এসব আগুন লাগিয়েছে বলে ভুক্তভোগী বস্তিবাসীর ধারণা। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। সম্প্রতি এসব অগ্নিকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অগ্নিকাণ্ডে এসব বস্তির অসংখ্য নিম্ন আয়ের মানুষ ঘরবাড়ি, সম্পদ, অর্থ, পরিধেয় বস্ত্র এমনকি রান্না করার সম্বলটুকু হারিয়ে দিশেহারা। শীতের মধ্যে তারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তিনি বলেন, আগুন লাগিয়ে দখল-পাল্টা দখল, অসৎ প্রক্রিয়ায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া, অবাধে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্ষমতাসীনরা বেপরোয়া। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে- গত ৩ বছরে ঢাকায় বিভিন্ন বস্তিতে ৯৫৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ পর্যন্ত একটিরও অভিযোগপত্র দিতে পারেনি। মূলত ক্ষমতাসীন মদদপুষ্ট ভূমিদস্যু মহলের যোগসাজশ ও অবৈধ প্রভাব এর মূল কারণ।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজধানীর বস্তিগুলোতে বিভিন্ন সময় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়ে একদিকে ভূমিদস্যুরা প্রচুর অর্থ-বিত্তের মালিক বনে যাচ্ছে, অন্যদিকে খেটে খাওয়া অসহায় মানুষ এক বস্তি থেকে অন্য বস্তিতে ছুটে বেড়াচ্ছেন মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য। এরপরও সরকার, প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ন্যূনতম ভ্রূক্ষেপ না করে নির্বিকার থাকছে।
ভ্রূক্ষেপহীনতাকে চরম মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার কিংবা সিটি কর্পোরেশন না থাকায় চরম বিপদের মুখোমুখি হয়েও ভুক্তভোগী মানুষ সাহায্য-সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অগ্নিকাণ্ডে সম্বলহীন এসব মানুষ এখনও পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে কোনো ত্রাণসামগ্রী পাননি।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা উন্নয়নের জোয়ারের কথা বলতে বলতে হয়রান হয়ে যাচ্ছেন। অথচ দেশে প্রকৃত অর্থে কিসের উন্নয়ন হচ্ছে তা এসব বস্তি ও বস্তিবাসীর দিকে তাকালেই সেই চিত্র ফুটে ওঠে।
তিনি বস্তি দখলের সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনাসহ মধ্যস্বত্বভোগীদের অপসারণের দাবি জানান। একই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের শিকার অসহায় মানুষদের স্থায়ী পুনর্বাসন, পর্যাপ্ত ত্রাণ, আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং বস্তিতে সেবা সংস্থাগুলোর বৈধ ও সুরক্ষিত সেবা নিশ্চিত ও নিরাপদ জীবনযাপনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।