করোনা মোকাবিলায় রপ্তানি ঋণ
একদফায় বাড়ল ৩ কোটি ডলার ঋণের সময়সীমা
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার * ৩০ জুন পর্যন্ত প্রতি এলসিতে মিলবে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে বস্ত্র ও গার্মেন্ট খাতের উদ্যোক্তাদের এক দফায় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ডলার ঋণ নেওয়ার সময়সীমা আরও ছয় মাস (৩০ জুন পর্যন্ত) বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে এ সীমা ছিল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রফতানি বাণিজ্যে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় উদ্যোক্তা সহায়তা হিসাবে এ সীমা বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হবে।
এটি অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের জানানোর জন্য সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, এক দফায় ইডিএফ তহবিল থেকে ঋণ নেওয়ার সীমা মে মাসে ৫০ লাখ ডলার বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ডলার করা হয়। এর আগে নিতে পারতেন সর্বোচ্চ ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বাড়তি কোটায় ঋণ নেওয়ার সীমা ছিল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর মেয়াদ আরও বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সদস্যরা রফতানি উন্নয়ন তহবিল থেকে এ বাড়তি ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন। অন্য রফতানিকারকদের ক্ষেত্রে আগের ঋণসীমা বহাল থাকবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় রফতানি আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় এ খাতের উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ৩ মাস ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থবির থাকার পর জুন থেকে সীমিত আকারে চালু হয়। এতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের কাছে নতুন রপ্তানির কার্যাদেশ আসতে শুরু করে। ফলে রপ্তানিপণ্য তৈরিতে কাঁচামাল আমদানি করতে বেশি অর্থের প্রয়োজন পড়ে। এজন্য ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলতে হয়। বড় আকারে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খুলতে উদ্যোক্তাদের অর্থের সংকট রয়েছে। এ কারণে এর সীমা ও কোটা বাড়ানো হয়েছে।
ওই তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে রফতানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করে তা দিয়ে পণ্য তৈরির পর তা রফতানি করা হয়। রফতানির বিল দেশে এলে ঋণ সমন্বয় করে বাড়তি অর্থ উদ্যোক্তারা অন্য খাতে ব্যয় করেন। করোনার প্রভাব মোকাবিলায় উদ্যোক্তাদের এ তহবিল থেকে বেশি পরিমাণে ঋণের জোগান দিতে এপ্রিলে বাংলাদেশ ব্যাংক এর আকার আরও ১৫০ কোটি ডলার বাড়িয়েছে।
আগে এর আকার ছিল ৩৫০ কোটি ডলার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০ কোটি ডলার। এ তহবিল থেকে উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়ার সুদের হার দুই দফায় কমিয়ে এখন ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। এপ্রিলে ২ শতাংশ করা হয়। এর আগে সুদের হার ছিল পৌনে ৩ থেকে সোয়া ৩ শতাংশ।
