Logo
Logo
×

শেষ পাতা

জমজমাট অনলাইন হাট

১২ দিনে বিক্রি হয়েছে প্রায় দুই লাখ পশু

ডিজিটাল পদ্ধতিতে পশু ক্রয়-বিক্রয়কে উৎসাহিত করছেন প্রধানমন্ত্রী -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২১, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

১২ দিনে বিক্রি হয়েছে প্রায় দুই লাখ পশু

এবার করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে জমজমাট কুরবানির পশুর হাট। ঝামেলা এড়াতে হাটের বদলে ক্রেতারা উঁকি দিচ্ছেন অনলাইন মাধ্যমে। বিভিন্ন ভাবে যাচাই-বাছাই করে কিনছেন পছন্দের পশু। ক্রেতা আকর্ষণে পশুর সব ধরনের তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। ডেলিভারি পেতেও কোনো ধরনের ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। যে কারণে বিক্রিও হচ্ছে দেদার। এদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ২ থেকে ১৩ জুলাই মোট ১২ দিনে এক লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৬টি পশু অনলাইট প্ল্যাটফরমে বিক্রি হয়েছে।

পবিত্র ঈদুল আজহা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। করোনার মধ্যে ঈদ উদযাপন করতে গিয়ে যাতে বিপদ ডেকে না আনি সেটা খেয়াল রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে কুরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়কে উৎসাহিত করছেন। সেটি বাস্তবায়নে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বুধবার রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কুরবানির পশুর বিপণনে বিকল্প বাজার ব্যবস্থাপনা এবং প্রাণিজ পণ্যের বিপণন বিষয়ে এক ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই কাজে যদি কেউ বাধা সৃষ্টি করে তাহলে ধরে নেওয়া হবে করোনাকালে মানুষের সমাগম এড়িয়ে সুন্দরভাবে কাজের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এটা আমরা কঠোরভাবে নেব। এ ব্যবস্থাকে কেউ ব্যাহত করার চেষ্টা করলে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, অনলাইন পদ্ধতিতে বিক্রি পশু পরিবহণের ক্ষেত্রে যাদের প্রমাণাদি আছে পথে তাদের যাতে হয়রানি করা না হয়, সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হয়রানি করলে সেটা চাঁদাবাজি হবে, ফৌজদারি অপরাধ হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। বাজারের নির্ধারিত এলাকার বাইরে পশু পরিবহণ ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই হাসিল আদায় করা যাবে না। এটা নিশ্চিত করতে হবে। শেখ হাসিনা সরকার সব প্রকার সহযোগিতা দিতে মানুষের পাশে আছে। কুরবানির হাট-বাজারে যাতে চাঁদাবাজি বা ডাকাতি না হয় এজন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগে সম্পৃক্তদের নজরদারি বাড়ানোর জন্য এসময় নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। সরকার এ বিষয়ে সহায়তা করবে বলেও আশ্বস্ত করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই কুরবানির জন্য প্রস্তুতকৃত ১ কোটি ১৯ লাখ গবাদিপশুর একটিও অবশিষ্ট থাকবে না। অনলাইনে ২৫ শতাংশ গবাদিপশু বিক্রয় হবে বলে আমরা আশা করছি।

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, কুরবানির আর মাত্র ৮ দিন বাকি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে অনলাইনে কুরবানির পশু বিক্রির হিড়িক পড়েছে। খামারিরাও কুরবানির পশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। আবার কোনো কোনো খামারির তৈরি করা পেজে বিক্রি হচ্ছে কুরবানির পশু। এদিকে পশুর হাটে ক্রেতার আনাগোনা কম হলেও চট্টগ্রামে অনলাইনে জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা।

বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার সাহারা অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক আশরাফ আলী জানান, ‘এ বছর অনলাইনে কুরবারির পশু বিক্রির ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমার খামারে ৪৪টির মতো গরু ছিল। ইতোমধ্যে ২১টি বিক্রি হয়ে গেছে। ফেসবুকে পোস্ট দেখে গরুগুলো কিনে নিয়ে গেছেন ক্রেতারা। আমার খামারে ১০০০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড় আছে। অনলাইনে এটি পোস্ট করার পর খুব সাড়া পাচ্ছি। ইতোমধ্যে ওই ষাঁড়টির দাম সাত লাখ টাকা উঠেছে। উপযুক্ত দাম পেলে গরুটি বিক্রি করে দেব।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম