Logo
Logo
×

শেষ পাতা

মুজিববর্ষ সমাপ্তি ১৬ ডিসেম্বর

দুই দিনের জমকালো অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা

সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী * অনুষ্ঠান হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়

Icon

বাহরাম খান

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২১, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দুই দিনের জমকালো অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা

মুজিববর্ষ সমাপ্ত হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ এই উদ্যোগটি এক বছরব্যাপী হওয়ার পরিকল্পনা ছিল। করোনার কারণে সব অনুষ্ঠান ঠিকমতো না হওয়ায় দুই বছরব্যাপী চলেছে মুজিববর্ষ। এবার সমাপ্তি উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠান জমকালোভাবে পালন করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি’। সরকারপ্রধান এই পরিকল্পনায় সায় দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অনুষ্ঠানটি দেশ-বিদেশের টেলিভিশন, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দেশি-বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশেষ অনুষ্ঠান হবে। তাই মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ভেন্যুতে অনুষ্ঠান আয়োজনের সম্মতি দিয়েছেন। অনুষ্ঠান আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত দায়িত্বশীল সূত্র যুগান্তরকে জানায়, ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কোনো কারণে সেটা ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বরও অনুষ্ঠিত হতে পারে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করতে প্রয়োজনে এই পরিবর্তন আনা হতে পারে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ এই অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটি। তবে প্রাথমিক পরিকল্পনায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনুষ্ঠানস্থলে মঞ্চ ও শব্দ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের। বিশেষ এই অনুষ্ঠানটি দুই দিনই সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা থাকবে। দেশ-বিদেশের সবার কাছে যাতে উপভোগ্য ও সুন্দর অনুষ্ঠান হয় তা নিশ্চিত করতে কাজ শুরু হবে। তাই অনুষ্ঠানের সাজসজ্জার বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ থাকছে।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিল্পকলা একাডেমি মিলে উপজীব্য বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দুই দিনের মনোরম অনুষ্ঠানমালা সাজাবে। এ ক্ষেত্রে সমন্বয়ের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ও সহযোগিতা করবে। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও আলোচনা সভার আয়োজন থাকবে।

বিদেশি অতিথিদের চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা জানান, মুজিববর্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় করোনা পরিস্থিতির সমস্যার কারণে সশরীরে অনেকে উপস্থিত হতে পারেননি। এবার করোনা পরিস্থিতি ভালো থাকায় গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি অতিথিদের উপস্থিত করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর বিশেষ এই অনুষ্ঠানটি বিশ্বের সব প্রান্তের বাঙালি যাতে উপভোগ করতে পারেন তার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে প্রচার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ মন্ত্রণালয় সরকারি প্রচারমাধ্যমসহ বেসরকারি টেলিভিশন, অনলাইন মাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করবে। আর পুরো অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে যাতে কোনো ঢিলেমি না থাকে সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের উদ্বোধন হয়। বাংলাদেশে করোনা আঘাতের প্রথম সেই সময়টাতে বড় আয়োজনের প্রস্তুতি থাকলেও তেমন জাঁকজমক করা যায়নি। এরপর চলতি বছরের ১৭ থেকে ২৬ মার্চ ১০ দিনের বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সরকার। সেখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের উপস্থিত করার চেষ্টা ছিল। যারা সশরীরে উপস্থিত হতে পারেননি তারা ভিডিও বার্তা দিয়ে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন বিশ্বের প্রধান প্রধান সব সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা। এবারের অনুষ্ঠানটিও সেই পর্যায়ের গুরুত্ব দিয়ে করা হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন কমিটি সূত্রে জানা গেছে।

মুজিব বর্ষ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম