লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা
দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সংক্রমণের হার বাড়লেও মৃত্যু কমেছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৩৭৮ জন নতুন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৩৫৯ জন রোগী পাওয়া যায়। একদিনে ১ হাজার ৩৩৯ রোগী বেড়েছে। এর আ?গে দেশে গত বছর ২৬ আগস্টে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৬৯৮ রোগী পাওয়া যায়।
সংবাদ বিজ্ঞ?প্তিতে বলা হয়- গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। ৮৫৩টি পরীক্ষাগারে ২৯ হাজার ৮৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২৭ হাজার ৯২০টি। অর্থাৎ করোনার উপসর্গও বেশি দেখা যাচ্ছে। যা আবার গণসংক্রমণের প্রমাণ হিসাবে দেখা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ নমুনায় করোনার উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। এর আগে গত বছর ২৫ আগস্ট শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তবে করোনা সংক্রমণের হার বাড়লেও মৃত্যু কমেছে। আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ জনের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় ২৮ হাজার ১২৯ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন নারী ও দুজন পুরুষ রয়েছে। ঢাকা বিভাগে তিনজন, চট্টগ্রাম বিভাগে দুজন ও রাজশাহী বিভাগে একজন মারা গেছেন। সবাই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ৭ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক প্রমাণ দিয়ে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর প্রতিদিনই বাড়ছে শনাক্তের হার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী দেশে এখন করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে হলে আরও ৬ দিন অপেক্ষা করতে হবে। ৪ অক্টোবর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার ৩ মাস পর ৭ জানুয়ারি সংক্রমণের হার ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর টানা ৮ দিন সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের বেশি পাওয়া গেছে। টানা ১৪ দিন এটি পাওয়া গেলে তৃতীয় সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাবে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে দেশে নতুন করে বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। যেসব নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেগুলোর কোনোটাই পালন হচ্ছে না।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। দেশে এখন পর্যন্ত ১৬ লাখ ৯ হাজার ৪২ জন রোগী পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৩০৬ জন সুস্থ হয়েছেন।
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৫ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সংক্রমণের হার বাড়লেও মৃত্যু কমেছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৩৭৮ জন নতুন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৩৫৯ জন রোগী পাওয়া যায়। একদিনে ১ হাজার ৩৩৯ রোগী বেড়েছে। এর আ?গে দেশে গত বছর ২৬ আগস্টে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৬৯৮ রোগী পাওয়া যায়।
সংবাদ বিজ্ঞ?প্তিতে বলা হয়- গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। ৮৫৩টি পরীক্ষাগারে ২৯ হাজার ৮৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২৭ হাজার ৯২০টি। অর্থাৎ করোনার উপসর্গও বেশি দেখা যাচ্ছে। যা আবার গণসংক্রমণের প্রমাণ হিসাবে দেখা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ নমুনায় করোনার উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। এর আগে গত বছর ২৫ আগস্ট শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তবে করোনা সংক্রমণের হার বাড়লেও মৃত্যু কমেছে। আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ জনের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় ২৮ হাজার ১২৯ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন নারী ও দুজন পুরুষ রয়েছে। ঢাকা বিভাগে তিনজন, চট্টগ্রাম বিভাগে দুজন ও রাজশাহী বিভাগে একজন মারা গেছেন। সবাই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ৭ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক প্রমাণ দিয়ে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর প্রতিদিনই বাড়ছে শনাক্তের হার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী দেশে এখন করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে হলে আরও ৬ দিন অপেক্ষা করতে হবে। ৪ অক্টোবর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার ৩ মাস পর ৭ জানুয়ারি সংক্রমণের হার ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর টানা ৮ দিন সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের বেশি পাওয়া গেছে। টানা ১৪ দিন এটি পাওয়া গেলে তৃতীয় সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাবে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে দেশে নতুন করে বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। যেসব নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেগুলোর কোনোটাই পালন হচ্ছে না।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। দেশে এখন পর্যন্ত ১৬ লাখ ৯ হাজার ৪২ জন রোগী পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৩০৬ জন সুস্থ হয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023