ইফতার নিয়ে বিরোধ
পটিয়ায় আ.লীগ নেতাকে গাছে বেঁধে মারধর
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২২, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মারধরের পর গাছে বেঁধে রাখা হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন গুহকে -যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চট্টগ্রামের পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিতেন কান্তি গুহকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। উপজেলার পূর্ব হাইদগাঁও গাউছিয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে শুক্রবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। ইফতারের আয়োজন নিয়ে বিরোধের জেরে এক পক্ষ তাকে মারধর করেছে বলে জানা গেছে। আহত আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন গুহের রক্তাক্ত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ছবিতে জিতেনকে খালি গায়ে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় দেখা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বর্তমানে হাফেজ-জুলু ও চেয়ারম্যান বিএম জসিমের নেতৃত্বে আলাদা গ্রুপ রয়েছে। শুক্রবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গাউছিয়া কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর। মাহফিলের আয়োজন চলাকালে পৌনে তিনটার দিকে ব্যানার খুলে নিয়ে যায় একটি পক্ষ। পরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিএম জসিম লোকজন নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। জসিমের উপস্থিতিতে তার সমর্থকরা জিতেন কান্তি গুহকে গাছে বেঁধে মারধর করে। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। এ ঘটনার পর ইফতার মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত বছর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে জসিম দলীয় মনোনয়ন চাইলেও পাননি। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারণে গতকাল আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এ কারণে ক্ষুব্ধ হন চেয়ারম্যান জসিম।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, ‘ওই এলাকায় আওয়ামী লীগে আগে থেকে বিরোধ রয়েছে। গতকাল ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হলেও সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিমকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এতে ক্ষুুব্ধ হয়ে তিনি লোকজন নিয়ে এসে আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন কান্তি গুহকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে আহতের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম জানান, তিনি বা তার লোকজন এ ঘটনায় জড়িত নন। জিতেন গুহের কাছে লোকজন টাকা পেতেন। তারা হয়তো তাকে মারধর করেছে। তার লোকজন জিতেনকে হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
