Logo
Logo
×

শেষ পাতা

স্বজন সমাবেশের অনুষ্ঠানে সম্পাদক সাইফুল আলম

অপরাধীর বিরুদ্ধে সব সময় কলম ধরে যুগান্তর

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অপরাধীর বিরুদ্ধে সব সময় কলম ধরে যুগান্তর

যুগান্তরকে ভালোবাসে এমন মানুষের অভাব নেই। কারণ যুগান্তর অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলে। সাহসের সঙ্গে নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। যুগান্তর কখনো কারও সঙ্গে আপস করেনি। অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক, তার বিরুদ্ধে কলম ধরে যুগান্তর। এমন সাহসের বার্তা একমাত্র যুগান্তরই দিতে পারে। অন্যায় ও অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার বলেই যুগান্তরকে সবাই ভালোবাসে। যুগান্তরের প্রতি সবাই আস্থা রাখে। আর আস্থা ও ভালোবাসাকে পুঁজি করে আমাদের নতুন করে পথচলা শুরু হোক। যুগান্তরের দুই যুগে পদার্পণ উপলক্ষ্যে ‘স্বজন সমাবেশ’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে শনিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম এসব কথা বলেন।

যুগান্তর কার্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজধানীসহ সারা দেশের স্বজন সমাবেশের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। কুরআন তিলাওয়াত এবং স্বজনদের নিয়ে কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্বজন সমাবেশের কেন্দ্রীয় সদস্য রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যুগান্তরের উপসম্পাদক এহসানুল হক বাবু, প্রধান বার্তা সম্পাদক আবদুর রহমান, প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম, বিশেষ প্রতিনিধি শেখ মামুনুর রশীদ, মফস্বল সম্পাদক নাঈমুল করীম নাঈম, ফিচার ইনচার্জ সেলিম কামাল, স্বজন সমাবেশের বিভাগীয় সম্পাদক সাইফ আহমাদ এবং যুগান্তরের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) আবুল খায়ের চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম আরও বলেন, স্বজন সমাবেশ ও যুগান্তর পরিবারের মধ্যে একটি বন্ধন তৈরি হয়েছে। এটি ভালোবাসার বন্ধন, মায়ার বন্ধন। স্বজন সমাবেশ একটি অনুভূতির নাম। এ অনুভূতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার। এ অনুভূতি আমাদের ছড়িয়ে দিতে হবে। কারণ, আমরা পরস্পর বিনি সুতোর মালায় গাঁথা। তিনি বলেন, যুগান্তরের পথ কখনো মসৃণ ছিল না। দেশের প্রেক্ষাপটে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই যুগান্তর এগিয়ে যাচ্ছে।

সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, এ অনুষ্ঠানে আমি স্মরণ করছি যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা, যুগান্তরের অন্যতম কান্ডারি, আমাদের সাহসের ভিত্তি এবং অনুপ্রেরণার উৎস বীর মুক্তিযোদ্ধা যমুনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে। ধন্যবাদ জানাই সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে এমপি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামকে, যিনি যুগান্তরের হাল ধরেছেন, যমুনা গ্রুপের হাল ধরেছেন। যুগান্তর ও যমুনা গ্রুপের পরিচালনায় যারা আছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। আর যাদের নিয়ে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে যুগান্তর ২৪ বছরে পা দিয়েছে, তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।

সাইফুল আলম বলেন, যুগান্তর শুধু সংবাদ উপস্থাপনে বিশ্বাস করে না। যুগান্তর মনে করে-দেশ, দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা আছে। আমরা দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে যাব। আমরা কষ্টের সময় মানুষের পাশে দাঁড়াব। আমাদের অনাগতদের যে প্রতিভা, সেই প্রতিভা বিকশিত হওয়ার পথে আমরা আমাদের ভূমিকা রাখব। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। সারা দেশে স্বজন সমাবেশ একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে দাঁড়াক। স্বজন সমাবেশের ঢাকার একজন স্বজন যখন চট্টগ্রাম যাবেন, তখন চট্টগ্রামের স্বজনরা উপলব্ধি করেন পরিবারের কেউ একজন এলো। এ বন্ধনটা গড়ে তুলতে হবে। এ বন্ধন বাংলাদেশে একসময় ছিল। এ বন্ধন আবার জাগ্রত করতে হবে। আমি আশা করি, যুগান্তরের স্বজন সমাবেশ সেই কাজটি করবে।

সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, আমরা খুব অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় কমিটি দিতে ভাঙা-গড়ার একটি কর্মসূচি গ্রহণ করব। এরপর সবাইকে নিয়ে একটি সম্মেলন করব। নিশ্চয়ই আমাদের আবার দেখা হবে।

যুগান্তরের উপসম্পাদক এহসানুল হক বাবু বলেন, যুগান্তর দুই যুগে পদার্পণ করেছে। এর পেছনে সবার শ্রম ছিল। অনেক প্রতিকূল অবস্থা এসেছিল। সত্যিকার অর্থে আমরা কাজ করে সফলভাবে দুই যুগে পদার্পণ করেছি। এজন্য স্বজনদের ভূমিকাও ছিল। স্বজনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা সারা দেশে যে পরিচিতি লাভ করেছি, সেক্ষেত্রে আপনাদেরও অবদান আছে। আমি বলব, আপনারা প্রত্যেক সদস্য যুগান্তরের দূত হিসাবে কাজ করছেন। অনেক স্বজন দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবদান রেখেছেন। এটা আমাদের গর্বের বিষয়।

প্রধান বার্তা সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, সংবাদকর্মী না হয়েও আপনারা যুগান্তরকে এগিয়ে নিতে সামনে থেকে কাজ করছেন। অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের কশাঘাত, নানা ধরনের অনিয়ম হচ্ছে। এমন সময়ে মানুষ একটি দায়িত্বশীল গণমাধ্যমকে কাছে পেতে চায়। সেখান থেকে আপনারা যুগান্তরের ব্যানার নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাদের বেদনায় পাশে থেকে কাজ করছেন। এজন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।

প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম বলেন, যুগান্তর কর্তৃপক্ষ, স্বজন সমাবেশ, কর্মকর্তা-কর্মচারী-সবাই আমরা একটি পরিবার। বর্তমানে শুধু সংবাদ প্রচার করা একটি গণমাধ্যমের কাজ হতে পারে না। সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন সাধন করাও গণমাধ্যমের কাজ। স্বজনরা সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। আপনারা যুগান্তরের পক্ষ থেকে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন। এটা দেশের জন্য অনেক বড় কাজ। এজন্য যুগান্তর কর্তৃপক্ষ সব সময় আপনাদের সঙ্গে থাকবে।

স্বজন সমাবেশের বিভাগীয় সম্পাদক সাইফ আহমাদ বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে স্বজনরা এখানে একত্রিত হয়েছেন। এজন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। দুই যুগে যুগান্তরের এ পথচলায় স্বজন সমাবেশ পাশে আছে। আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা করি।

অনুষ্ঠানে স্বজন সমাবেশের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন গৌরীপুর স্বজন সমাবেশের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আল রাজ, সাহিত্য সম্পাদক আমিরুল মোমিনীন, মিরপুর শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন, স্বজন সামিনা রুচী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাফিয়া রহমান, লৌহজং শাখার সহসভাপতি সালমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক মজনু মির্জা, মুক্তাগাছা শাখার সভাপতি সাইফুজ্জামান, নরসিংদী শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান খোকন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন গৌরীপুরের স্বজন রফিকুল ইসলাম রবি, লাবিবা ইসলাম রুদিতা, আমিরুল মোমেনীন, আশিফুর রহমান, গোপা দাস, অনামিকা সরকার, সজিব খান, শামীমা খানম মীনা, ইসরাত জাহান রেখা, পৃথা সরকার, অনিল সরকার এবং মিরপুরের স্বজন সামিনা রুচী। এছাড়া নৃত্য পরিবেশন করেন গৌরীপুর স্বজন তায়িবা জামান রায়না, অর্পিতা সরকার অর্পি, নাফিসা হাসান রিদি, রুবাইয়াত ইসলাম রোদেলা, তাসফিয়া জাহান রাইমা।

অনুষ্ঠানে বার্ষিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে পাঁচটি শাখা ও সেরা স্বজনদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। সেরা সংগঠন হিসাবে ময়মনসিংহের গৌরীপুর স্বজন সমাবেশ, ঢাকার বাড্ডা শাখা, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি শাখা, মুন্সিগঞ্জের লৌহজং শাখা, চট্টগ্রামের মীরসরাই শাখা মনোনীত হয়। সেরা স্বজন মনোনীত হন-এমদাদুল হক, সেলিম আল রাজ, মুহিউদ্দিন জিকু, আসাদুজ্জামান খোকন, দেওয়ান সামছুর রহমান, জাহাঙ্গীর ডালিম, মেহেদী হাসান, মিরাজুল ইসলাম রাসেল, নাফিজুল ইসলাম তন্ময়, সুমন রায়, সাইফুর রহমান সৈকত, সায়কা বানু, শাহরিয়ার জাহান প্রিয়া ও ইসমাইল হোসেন সাজু।

জাতীয় প্রেস কাউন্সিলের প্রাতিষ্ঠানিক ক্যাটাগরিতে যুগান্তর প্রথম হওয়ায় গৌরীপুর স্বজন সমাবেশের পক্ষ থেকে যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলমকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অপরাধী যুগান্তর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম