Logo
Logo
×

শেষ পাতা

পটিয়ায় আ.লীগের দুগ্রুপে সংঘর্ষ আহত ১১

Icon

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পটিয়ায় আ.লীগের দুগ্রুপে সংঘর্ষ আহত ১১

চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। এ সময় তাদের একপক্ষের সঙ্গে যোগ দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদির কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে উপজেলার হাবিলাসদ্বীপে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন-আ.ন.ম. মহিউদ্দিন নওশাদ (৪০), তার ভাই আ.ন.ম. মঈনুদ্দিন আজাদ (৩০), দক্ষিণ জেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতা লিটন (৩৫), জুয়েল (৩৪), উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আতিক (২০), কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রবিন (২১)। বাকিদের নাম জানা যায়নি। আহতরা পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত মহিউদ্দিন নওশাদের পক্ষে হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফৌজুল কবির কুমার পটিয়া থানায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, এদিন বদিউল আলমের পক্ষে হাবিলাসদ্বীপ ছালে নুর কলেজ এলাকায় কম্বল বিতরণের কর্মসূচি ছিল। এ উপলক্ষ্যে সভামঞ্চ তৈরিকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। সভামঞ্চ তৈরিতে বাধার খবর পেয়ে মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সাইফু লোকজন নিয়ে সেখানে গেলে প্রথম দফা মারামারির ঘটনা ঘটে। সাইফু হাবিলসদ্বীপ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিনিয়র বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলামের ভাই। সাইফুরের সঙ্গে মারামারির খবর পেয়ে শফিকুল ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সাইফুর পক্ষে অংশ নিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মারধর করে। এ বিষয়ে বদিউল আলম বলেন, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের কম্বল বিতরণ কর্মসূচি ছিল। সেখানে মঞ্চ তৈরিতে বাধা দিলে আমরা অন্যত্র সরে যাই। পরে সেখানেও বাধা দেওয়া হলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষে তার পক্ষে বিএনপির লোকজন অংশ নিয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মারামারিতে কারা অংশ নিয়েছে তা আমি জানি না। তবে এটুকু জানি, সাইফু ও শফিকুলের পরিবার এলাকায় বড় পরিবার হিসাবে পরিচিত। তাদের বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সেখানে সাইফুর ওপর হামলার কথা শুনে এলাকার দলমত নির্বিশেষে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফৌজুল কবির কুমার জানান, কম্বল বিতরণ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোনো ঘটনা হয়নি। বিএনপির সঙ্গে পূর্ব রেষারেষির জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় ৯ জনকে এজাহারনামীয় ও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সাইফুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে দলের কেউ নন। সে মূলত তার ভাই সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলামকে রক্ষা করতে একটি কৌশল নিয়েছে। তবে গুরুতর আহত মো. মহিউদ্দিন নওশাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার বড় বোন জিন্নাত আরা জানিয়েছেন, তার ভাইকে বেদম পেটানো হয়েছে। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, কম্বল বিতরণ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মূলত ঘটনার সূত্রপাত। তবে কারা ওই ঘটনায় জড়িত তা আমরা খতিয়ে দেখছি। দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি ইউপি চেয়ারম্যান ফৌজুল কবির কুমারের পক্ষ থেকে। অভিযোগের বাদী হলেন আহত মহিউদ্দিন। এ বিষয়ে আইনগত ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

 

পটিয়া আ.লীগ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম