রাজস্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দূর হবে জটিলতা
jugantor
রাজস্ব সম্মেলনের প্রথম দিন
রাজস্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দূর হবে জটিলতা

  যুগান্তর প্রতিবেদন  

০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে রাজস্ব খাতে কাঠামোগত সংস্কারের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) একীভূত করে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজস্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

এতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর হবে, পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দীর্ঘসূত্রতা কমবে। রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত রাজস্ব সম্মেলনের প্রথম দিনে ভ্যাট বিষয়ক আলোচনা সভায় এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজস্ব সম্মেলন ও আগারগাঁও নবনির্মিত রাজস্ব ভবনের উদ্বোধন করেন। বিকালে ভ্যাট বিষয়ক সেমিনারে ৪টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এর একটিতে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

‘জাতীয় উন্নয়নে ভ্যাটের ভূমিকা : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধে চট্টগ্রাম ভ্যাটের কমিশনার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম খরচে রাজস্ব আদায় করছে এনবিআর। ১০০ টাকার রাজস্ব আদায়ে গড়ে খরচ হয় ২২ পয়সা। পক্ষান্তরে ভারতে ৬০ পয়সা ও জাপানে এক টাকা ৭০ পয়সা লাগে। অথচ এনবিআরের মাঠ পর্যায়ে নিজস্ব স্থাপনা নেই। যানবাহনেরও সংকট আছে। রাজস্ব আদায় বাড়াতে এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যে ধরনের আর্থিক প্রস্তাব, জনবল নিয়োগ, গাড়ি কেনা, গাড়ি ভাড়া, অফিস ভাড়া, লজিস্টিক ও প্রশাসনিক কাজের জন্য আইআরডির মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হয়। এতে অনেক কালক্ষেপণ হয়। যেহেতু আইআরডির সচিব পদাধিকারবলে এনবিআর চেয়ারম্যান সেহেতু আইআরডি ও এনবিআরকে একীভূত করে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজস্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

প্রথম দিনের সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আজকের বাংলাদেশের উন্নয়নের পেছনে রাজস্বের অবদান অনেক। কর্ণফুলী টানেল, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনেও রাজস্ব খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।

তিনি আরও বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ আসবে। ২০২৬ সালের পর শুল্ক আদায় কমে যাবে। তখন রাজস্ব আদায়ে যাতে সমস্যা না হয় সে জন্য এখন থেকেই আয়কর ও ভ্যাট আদায় বাড়াতে হবে। আয়কর আদায়ে মানুষকে ইতিবাচক ভূমিকা নিতে হবে, মানুষকে সচেতন করতে হবে।

টিপু মুনশি বলেন, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জ্ঞানসমৃদ্ধ এনবিআর করতে গঠনে মনোযোগী হতে হবে। কর আদায়ের নতুন নতুন ক্ষেত্রে উদঘাটনে রিসার্স করার তাগিদ দেন তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে রাজস্ব আহরণের বেশিরভাগই হচ্ছে ভ্যাট থেকে। নতুন ভ্যাট আইন প্রবর্তনের পর থেকে ভ্যাট আদায়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে ভ্যাটের বিষয়ে বিভিন্ন সময়েই আদালতে মামলা হয়। অনেক বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় এ ধরনের জটিলতা তৈরি হয় উল্লেখ করে তা নিরসনের পরামর্শ দেন তিনি।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে ভ্যাট ব্যবস্থা চালু হলেও ২০১২ সালে নতুন আইন প্রণয়নের পর কার্যকরভাবে ভ্যাট আদায় বাড়তে পারে। ২০১৯ সালের পর গতি পায়। সে হিসাবে ভ্যাটের জাল বৃদ্ধির জায়গায় আমরা খুব পিছিয়ে আছি তা বলা যাবে না। অবশ্যই ভ্যাটের বাইরে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। তাদের ভ্যাট জালে আনার চেষ্টা চলছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, আগামী মার্চ থেকে খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট আদায় নিশ্চিত করতে ৩ লাখ ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস মেশিন স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

রাজস্ব জাদুঘরে ব্যাপক সাড়া : সকালে রাজস্ব সম্মেলন ও রাজস্ব ভবন উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজস্ব জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বই মন্তব্য লেখেন। এরপর সব আয়কর ও কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তারা জাদুঘর ঘুরে দেখেন। জাদুঘরে শুল্ক আদায়ের প্রাচীন ইতিহাস চিত্রকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। একইসঙ্গে পুরোনো দিনের স্মারক আইন, বিধি, এসআরও’র কপি এবং স্মাগলিংয়ের সময় আটককৃত মূল্যবান ধাতব মূর্তি প্রদর্শন করা হয়।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-এম নুরুল কাদেরের নিজ হাতে লেখা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বরাদ্দ ব্যয়ের হিসাব বিবরণী, ১৯৮৪ সালের ৪ জুন প্রকাশিত প্রথম আয়কর অধ্যাদেশের গেজেট কপি, ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান আমলের কাস্টমস ম্যানুয়াল, ১৯৫১ সালের মোংলা কাস্টমসে দাখিলপত্র বিল অব এন্ট্রির কপি, ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমসে আটক লুইস এক্সভি ঘড়ি এবং রেডিও ক্যাসেট টেপ, চাঁদের পাথর ও ধূলিকণা পৃথিবীতে আনার প্রথম কাস্টমস ঘোষণাপত্র, ১৯৬৭ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমসে জুতার হিলের মধ্যে স্বর্ণ চোরাচালান দায়ে আটক জুতা অন্যতম।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আরমান বলেন, ১১ বছর ধরে এনবিআরে কাজ করছি। এ সময় ভালো-খারাপ অনেক ঘটনার নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু শুল্ক আদায়ের প্রাচীন ইতিহাসটা তেমনভাবে জানা হয়নি। রাজস্ব মিউজিয়ামে এসে ইতিহাসটা জানা হয়ে গেল।

রাজস্ব সম্মেলনের প্রথম দিন

রাজস্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দূর হবে জটিলতা

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে রাজস্ব খাতে কাঠামোগত সংস্কারের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) একীভূত করে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজস্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

এতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর হবে, পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দীর্ঘসূত্রতা কমবে। রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত রাজস্ব সম্মেলনের প্রথম দিনে ভ্যাট বিষয়ক আলোচনা সভায় এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজস্ব সম্মেলন ও আগারগাঁও নবনির্মিত রাজস্ব ভবনের উদ্বোধন করেন। বিকালে ভ্যাট বিষয়ক সেমিনারে ৪টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এর একটিতে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

‘জাতীয় উন্নয়নে ভ্যাটের ভূমিকা : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধে চট্টগ্রাম ভ্যাটের কমিশনার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম খরচে রাজস্ব আদায় করছে এনবিআর। ১০০ টাকার রাজস্ব আদায়ে গড়ে খরচ হয় ২২ পয়সা। পক্ষান্তরে ভারতে ৬০ পয়সা ও জাপানে এক টাকা ৭০ পয়সা লাগে। অথচ এনবিআরের মাঠ পর্যায়ে নিজস্ব স্থাপনা নেই। যানবাহনেরও সংকট আছে। রাজস্ব আদায় বাড়াতে এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যে ধরনের আর্থিক প্রস্তাব, জনবল নিয়োগ, গাড়ি কেনা, গাড়ি ভাড়া, অফিস ভাড়া, লজিস্টিক ও প্রশাসনিক কাজের জন্য আইআরডির মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হয়। এতে অনেক কালক্ষেপণ হয়। যেহেতু আইআরডির সচিব পদাধিকারবলে এনবিআর চেয়ারম্যান সেহেতু আইআরডি ও এনবিআরকে একীভূত করে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজস্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

প্রথম দিনের সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আজকের বাংলাদেশের উন্নয়নের পেছনে রাজস্বের অবদান অনেক। কর্ণফুলী টানেল, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনেও রাজস্ব খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।

তিনি আরও বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ আসবে। ২০২৬ সালের পর শুল্ক আদায় কমে যাবে। তখন রাজস্ব আদায়ে যাতে সমস্যা না হয় সে জন্য এখন থেকেই আয়কর ও ভ্যাট আদায় বাড়াতে হবে। আয়কর আদায়ে মানুষকে ইতিবাচক ভূমিকা নিতে হবে, মানুষকে সচেতন করতে হবে।

টিপু মুনশি বলেন, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জ্ঞানসমৃদ্ধ এনবিআর করতে গঠনে মনোযোগী হতে হবে। কর আদায়ের নতুন নতুন ক্ষেত্রে উদঘাটনে রিসার্স করার তাগিদ দেন তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে রাজস্ব আহরণের বেশিরভাগই হচ্ছে ভ্যাট থেকে। নতুন ভ্যাট আইন প্রবর্তনের পর থেকে ভ্যাট আদায়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে ভ্যাটের বিষয়ে বিভিন্ন সময়েই আদালতে মামলা হয়। অনেক বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় এ ধরনের জটিলতা তৈরি হয় উল্লেখ করে তা নিরসনের পরামর্শ দেন তিনি।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে ভ্যাট ব্যবস্থা চালু হলেও ২০১২ সালে নতুন আইন প্রণয়নের পর কার্যকরভাবে ভ্যাট আদায় বাড়তে পারে। ২০১৯ সালের পর গতি পায়। সে হিসাবে ভ্যাটের জাল বৃদ্ধির জায়গায় আমরা খুব পিছিয়ে আছি তা বলা যাবে না। অবশ্যই ভ্যাটের বাইরে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। তাদের ভ্যাট জালে আনার চেষ্টা চলছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, আগামী মার্চ থেকে খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট আদায় নিশ্চিত করতে ৩ লাখ ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস মেশিন স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

রাজস্ব জাদুঘরে ব্যাপক সাড়া : সকালে রাজস্ব সম্মেলন ও রাজস্ব ভবন উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজস্ব জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বই মন্তব্য লেখেন। এরপর সব আয়কর ও কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তারা জাদুঘর ঘুরে দেখেন। জাদুঘরে শুল্ক আদায়ের প্রাচীন ইতিহাস চিত্রকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। একইসঙ্গে পুরোনো দিনের স্মারক আইন, বিধি, এসআরও’র কপি এবং স্মাগলিংয়ের সময় আটককৃত মূল্যবান ধাতব মূর্তি প্রদর্শন করা হয়।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-এম নুরুল কাদেরের নিজ হাতে লেখা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বরাদ্দ ব্যয়ের হিসাব বিবরণী, ১৯৮৪ সালের ৪ জুন প্রকাশিত প্রথম আয়কর অধ্যাদেশের গেজেট কপি, ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান আমলের কাস্টমস ম্যানুয়াল, ১৯৫১ সালের মোংলা কাস্টমসে দাখিলপত্র বিল অব এন্ট্রির কপি, ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমসে আটক লুইস এক্সভি ঘড়ি এবং রেডিও ক্যাসেট টেপ, চাঁদের পাথর ও ধূলিকণা পৃথিবীতে আনার প্রথম কাস্টমস ঘোষণাপত্র, ১৯৬৭ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমসে জুতার হিলের মধ্যে স্বর্ণ চোরাচালান দায়ে আটক জুতা অন্যতম।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আরমান বলেন, ১১ বছর ধরে এনবিআরে কাজ করছি। এ সময় ভালো-খারাপ অনেক ঘটনার নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু শুল্ক আদায়ের প্রাচীন ইতিহাসটা তেমনভাবে জানা হয়নি। রাজস্ব মিউজিয়ামে এসে ইতিহাসটা জানা হয়ে গেল।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন