চট্টগ্রামে অক্সিজেন কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চট্টগ্রামের সব অক্সিজেন উৎপাদনকারী কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার একদিন পর স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে নগরীর সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিপ ব্রেকিং ব্যবসায়ী ও অক্সিজেন কারখানা মালিকরা।
সম্প্রতি সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদ এবং তার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামের সব অক্সিজেন কারখানা অনির্দিষ্টকাল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) নেতারা এক সভা থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার অক্সিজেন কারখানাগুলোতে উৎপাদন বন্ধ ছিল।
বিএসবিআরএ সভাপতি মো. আবু তাহের যুগান্তরকে বলেন, জেলা প্রশাসক আমাদের ডেকেছিলেন। বৈঠকে তিনি আমাদের দাবির বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করলে আমরা কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করি। এ ছাড়া শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে যে মানববন্ধন করার কথা ছিল তাও স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার থেকে কারখানাগুলো আবারও উৎপাদন শুরু করবে। ৪ মার্চ বিকালে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারির সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে সাতজনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ২১ জন। এতে নিহত মো. সালাহউদ্দিনের স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে ৬ মার্চ রাতে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন। মামলায় কারখানাটির মালিক তিন ভাইসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। তিন ভাই হলেন-কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মামুন উদ্দিন এবং দুই পরিচালক আশরাফ উদ্দিন ও পারভেজ উদ্দিন।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে ১৪টি অক্সিজেন কারখানা রয়েছে। যার বেশির ভাগই সীতাকুণ্ডে। এর মধ্যে বর্তমানে ছয়টি কারখানা সচল। এসব কারখানায় উৎপাদিত অক্সিজেন লোহা ও ইস্পাত শিল্পে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া মেডিকেল অক্সিজেনও উৎপাদন করা হয়।
