মাদারীপুরে রাজিব হত্যায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
৬ জনের যাবজ্জীবন
মাদারীপুর ও টেকেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মাদারীপুর সদরে রাজিব সরদার (২৬) হত্যা মামলায় ২৩ জনকে ফাঁসি এবং ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার ১১ বছর পর মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস রায় ঘোষণা করেন। রায়ে চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-আব্দুল হাই হাওলাদার, আব্দুল হক হাওলাদার, জহিরুল হাওলাদার, রাসেল হাওলাদার, রাজা হাওলাদার, কালু হাওলাদার, সোবহান হাওলাদার, তুষার শরীফ, ইউসুপ হাওলাদার, আজিজুল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, রেজাউল হাওলাদার, শামিম হাওলাদার, আহাদ হাওলাদার, দলিলউদ্দিন হাওলাদার, অলিলউদ্দিন হাওলাদার, জসিম হাওলাদার, মনির হাওলাদার, সুমন শরীফ, সাগর শরীফ, হাফিজুল কাজী, কালু কাজী ও আলাউদ্দিন কাজী।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন-সেকেন হাওলাদার, উজ্জ্বল হাওলাদার, জামাল হাওলাদার, রুবেল হাওলাদার, নুরুল আমিন হাওলাদার ও বাকিবিল্লা হাওলাদার।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজিব সরদার। পথে পৌর শহরের হরিকুমারিয়া এলাকায় আসামিরা তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে রাজিবকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান চিকিৎসকরা। কিন্তু পথেই মারা যান তিনি। এ ঘটনার ৩ দিন পর নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা করেন। থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক রাজিব হোসেন মামলার তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আদালতে যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত সাক্ষী-প্রমাণের ভিত্তিতে ২৩ জনকে ফাঁসি, ৬ জনকে যাবজ্জীবন এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিলেন। রায় ঘোষণার সময় ২২ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, এটি ঐতিহাসিক রায়। মামার সঙ্গে বিরোধের জেরে তার ভাগ্নেকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। দীর্ঘ যুক্তিতর্ক শেষে আদালত মামলায় ২৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।
