জুড়ীতে বন্যপ্রাণীর সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ
গাছের বিশাল গুঁড়ি টেনে নামানো হচ্ছে গর্ভবতী হাতি দিয়ে
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মৌলভীবাজারের জুড়ীর দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে গর্ভবতী হাতি দিয়ে টানানো হচ্ছে গাছের গুঁড়ি। শুক্রবারের ছবি -যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মৌলভীবাজারের জুড়ীর দুর্গম পাহাড়ি বনে গর্ভবতী হাতি দিয়ে বিশাল সব গাছের গুঁড়ি টেনে সমতলে নামানো হচ্ছে।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের কচুরগুলের কুচাইতল পাহাড়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
বন্যপ্রাণীর প্রতি এমন নিষ্ঠুর আচরণে স্থানীয়রা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, এদের দিয়ে ভারী, অমানবিক ও নিষ্ঠুর কাজ করানো দণ্ডনীয় অপরাধ।
সরেজমিন গেলে হাতির মাহুত দুদু মিয়া জানান, কুচাইতল পানপুঞ্জির উচে খাসিয়া কামরুল ইসলাম নামে জুড়ীর এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে পাহাড়ের ২৫টি গাছ বিক্রি করেন।
ওই কাঠ ব্যবসায়ী গাছগুলো কেটে সমতলে নিয়ে আসার জন্য দৈনিক পাঁচ হাজার টাকা মজুরিতে হাতিটি ভাড়া করেন।
মাহুতের দাবি, গাছ কাটার সরকারি অনুমতি থাকায় তারা গাছগুলো কেটে এর গুঁড়ি টেনে সমতলে পৌঁছে দেওয়ার চুক্তিতে বুধবার থেকে হাতিটি দিয়ে কাজ করছেন।
তবে হাতিটি গর্ভবতী এবং এর মালিক জুড়ী উপজেলার একজন জনপ্রতিনিধি বলে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন।
অর্থ উপার্জনে নিরীহ প্রাণীটির ওপর এমন নির্দয় আচরণে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের এসিএফ (শ্রীমঙ্গল) শ্যামল কুমার মিত্র জানান, এক সময় পোষা হাতি দিয়ে গাছ টানানোয় কোনো বিধিনিষেধ ছিল না।
কিন্তু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১২ অনুযায়ী কোনো প্রাণী দিয়ে নিষ্ঠুর কাজ করানো অমানবিক, আইনবহির্ভূত ও দণ্ডনীয় অপরাধ।
হাতিটি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকে তবে এখানে দুটো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
