ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্রকে হলের সিট থেকে নামিয়ে দিল ছাত্রলীগ
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের এক আবাসিক ছাত্রকে হল থেকে জোর করে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী মাহাদী হাসান ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি হলের আবাসিকতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে হল প্রভোস্ট বরাবর শনিবার অভিযোগ করেছেন। তবে একই দিন প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে তারা তা গ্রহণ করেননি বলে জানান ভুক্তভোগী। অভিযুক্তরা হলেন-বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম তরুণ, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফাহিম ফয়সাল ও বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রাজু। তারা সবাই শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী। তারা ওই হলের সিট নিয়ন্ত্রণ করে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাহাদী লালন শাহ হলের ৪২৮নং কক্ষের আবাসিক ছাত্র। মাহাদীকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তরুণ, ফাহিম ও রাজু ৪২৭নং কক্ষে ডাকে। কক্ষে ঢুকতেই ফাহিম মাহাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। মাহাদী তার সিটে থাকতে চান। এ সময় রাজু তাকে ধমক দিয়ে বলে-তুই কে? তোকে আগে কখনো হলে দেখিনি। কে তোকে হলে তুলেছে? আর ওইসব আবাসিকতার কাহিনী বাদ দে। আমরা যা বলব হলে তাই হবে।’ তখন তরুণ মাহাদীকে বলে-‘আমারে চিনিস তুই, আমি কে? ৪২৮নং কক্ষ থেকে সবকিছু নিয়ে কোথায় যাবি যা। ৩০৮-এ থাকবি নাকি কোথায় থাকবি আমরা জানি না। একথা বলে তারা মাহাদীর বই, খাতা, তোশক ও বালিশ কক্ষের বাইরের করিডোরে ফেলে দেয় এবং বলে এখানে তোর সবকিছু আছে নিয়ে চলে যা।’
ভুক্তভোগী ওই ছাত্র জানান-ছাত্রলীগকর্মী নুরুজ্জামান খান সাগরের মাধ্যমে প্রথমে হলের গণরুমে ওঠেন। পরে অতিথি হিসাবে উঠেন ৩০৮ নম্বর কক্ষে। সেখানে থেকে ছাত্রলীগের সব মিছিল সমাবেশে সক্রিয় অংশ নিতেন। পরে ৪২৮ নম্বর কক্ষে আবাসিকতা পেলে হলে সেই কক্ষে ওঠার চেষ্টা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন। তবে ফাহিম ফায়সাল জানায়-সে (মাহাদী) আগে সাগর ভাইয়ের সঙ্গে রাজনীতি করত। তাকে আমরা এখন মিছিল মিটিংয়ে পাই না। অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে সে যুগান্তরকে বলে-‘সে (মাহাদী) অন্য এক ছেলের সিটে থাকত আমরা উভয়ের মধ্যে মিউচুয়াল করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় যুগান্তরকে বলেন, ‘অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, যে হলে উঠেনি তাকে সিট থেকে নামানোর প্রশ্নই ওঠে না। আমরা কোনো আবাসিক ছাত্রকে হলে উঠতে বাধা দিই না। বরং বৈধ শিক্ষার্থীতে হলে উঠতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করি।’ লালন শাহ হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বসে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
