সন্দ্বীপ উপজেলা উপ-নির্বাচন
নৌকার প্রার্থী মাঈনউদ্দিন মিশন বিজয়ী
জালভোটের অভিযোগে আটক ১৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে প্রাথমিক ফলাফলে আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রার্থী মাঈনউদ্দিন মিশন ২৮ হাজার ২৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম (আনারস) পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩৭৩ ভোট।
বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নিজ এলাকা সন্দ্বীপে উল্লেখযোগ্য গোলযোগ ছাড়াই এই উপ-নির্বাচন শেষ হলেও বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি থাকলেও কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম।
এদিকে ফলাফল ঘোষণার পর রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ৮৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টি কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এজেন্ট ছাড়া এসব কেন্দ্রে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা জাল ভোট দিয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, পৌরসভার মেয়র মুক্তাদির মাওলা সেলিমের নেতৃত্বে পৌরসভা এলাকার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে আনারস মার্কার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। এসব কেন্দ্রে ব্যাপক জাল ভোটের অভিযোগ করেছেন আনারস মার্কার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। এসব কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মেরেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
কালাপানি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান সুমন ও কালাপানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলিমুর রেজা টিটুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর (নৌকা) সমর্থকরা সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেন। তারা বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে আনারসের এজেন্টদের বের করে দিয়ে ব্যাপক জাল ভোট দেয়।
সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর (স্বতন্ত্র) সমর্থক নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করায় সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফুলমিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এছাড়া মাইটভাঙ্গার জেলেদের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
