তারেক রহমান-জোবায়দার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাক্ষ্যগ্রহণ নিয়ে আদালতে হট্টগোল আহত ৩
আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এজলাসে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ধাওয়া করে এজলাস থেকে বের করে দেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। এ সময় কয়েকজন আহত হন। তাদের মধ্যে আইনজীবী আব্দুল খালেক মিলন, জহিরুল ইসলাম মুকুল ও আনোয়ার হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে দুপুর ২টার পর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিচারক এজলাসে উঠে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন।
এদিন সাক্ষ্য দিতে এ মতিন অ্যান্ড কোম্পনির চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টিংয়ের আব্দুল মতিন আদালতে উপস্থিত হন। পরে তিনি তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আইনজীবী জানান, সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এজলাসের ভেতরে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের কয়েকজন বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এরপর আদালতের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এদিকে আদালতের বাইরে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলায় ইকবাল মান্দ বানুকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে তারা পলাতক। আর ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।
