Logo
Logo
×

শেষ পাতা

কর্মকর্তার বরখাস্তকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড

Icon

দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কর্মকর্তার বরখাস্তকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের একজন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বোর্ডে উত্তপ্তাবস্থা বিরাজ করছে। বরখাস্তের পরের দিন জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের বাগবিতণ্ডা ও পরস্পরকে হুমকি-ধমকির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে থানায় পালটাপালটি জিডি করা হয়েছে।

জানা যায়, সরকারি চাকরিবিধি পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে সেকশন অফিসার রিয়াজুল ইসলামকে ২৮ মে বরখাস্ত করে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। পরের দিন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলামের সঙ্গে তার অফিসকক্ষে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতার।

এ ঘটনায় সোমবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব নাসিমউজ জামান দলীয় পরিচয় উল্লেখ না করে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বজলুল হক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ ইয়াজদান মার্শাল ও ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেলের নামে কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, সেকশন অফিসার রিয়াজুল ইসলামকে বরখাস্ত করার ঘটনায় বোর্ড চেয়ারম্যানের কক্ষে প্রবেশ করে তাকে গালাগাল করেন বজলুল হক ও শাহ ইয়াজদান মার্শাল। তবে ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল কোনো কিছু না বলে অফিস হতে বের হয়ে যান।

এ বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল, বিষয়টি সুরাহা হচ্ছে।

অন্যদিকে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বজলুল হক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও হুমকি-ধামকির অভিযোগ এনে কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, ২৯ মে বিকাল ৪টায় দুই মেয়ের এসএসসি ও এইচএসসি পাশের সার্টিফিকেট ইংলিশ ভার্সনে করার জন্য দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষে যান।

এ সময় তার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ ইয়াজদান মার্শাল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল ছিলেন। চেয়ারম্যানের কক্ষে প্রবেশ করে দলীয় পরিচয় দিতেই বোর্ড চেয়ারম্যান বিরূপ মন্তব্য করেন।

এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে চেয়ারম্যান কামরুল ইসলামের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান তাদের গ্রেফতার করে চালান এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।

চাকরিচ্যুতির বিষয়ে রিয়াজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই বরখাস্ত করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সে বিষয়ে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই।

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম বলেন, আইন উপদেষ্টার মতামত ও বিধি মেনেই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

দিনাজপুর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম