Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন

ঢাকাসহ ছয় বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’

১০ জুন চট্টগ্রাম থেকে শুরু * নতুন ভোটার টার্গেট করে তরুণদের ব্যাপক জমায়েতের প্রস্তুতি

Icon

তারিকুল ইসলাম

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকাসহ ছয় বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’

বিএনপি লোগো

রাজধানী ঢাকাসহ ছয় বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আন্দোলনে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দলটির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন-জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করবে। ১০ জুন চট্টগ্রাম থেকে সমাবেশ শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে বগুড়া, খুলনা, বরিশাল, সিলেট এবং সবশেষে ঢাকায় পালন করবে এ কর্মসূচি। ‘দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ’ শিরোনামে এতে নতুন ভোটার টার্গেট করে তরুণদের ব্যাপক জমায়েতের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব। ইতোমধ্যে নেতাদের দায়িত্বও ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচি ঘোষণার কথা রয়েছে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

আরও জানা যায়, সম্প্রতি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে অনেকেই বলেন, বিএনপির পাশাপাশি অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে ভিন্নমাত্রার কর্মসূচি দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল যৌথভাবে তরুণদের নিয়ে বিভাগীয় বা বড় জেলা শহরে সমাবেশ করতে পারে। বিগত দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা ভোটার হয়েছেন, তারা ভোট দিতে পারেননি। নতুন ভোটারদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে হতে পারে এসব সমাবেশ। এতে তরুণরা উৎসাহিত হবে। ‘তারুণ্যের সমাবেশের’ পাশাপাশি বিএনপি ও সমমনা দলগুলোও নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে। স্থায়ী কমিটির এমন সিদ্ধান্তের পর তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকমান্ডের নির্দেশ পেয়ে কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্তে দফায় দফায় বৈঠক করেন তারা। কর্মসূচির খসড়া তৈরি করে হাইকমান্ডের কাছে পাঠানো হয়। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রামের পর ১৭ জুন বগুড়ায় হবে এ সমাবেশ। এরপর ৭ জুলাই খুলনা, ১৫ জুলাই বরিশাল, ২২ জুলাই সিলেট এবং ২৯ জুলাই ঢাকায় সমাবেশের কথা রয়েছে। প্রতিটি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান যুগান্তরকে বলেন, তরুণ ভোটার, বিশেষ করে গত ১৫ বছরে যারা ভোটার হয়েছেন, অনেকেরই বয়স এখন ৩০ থেকে ৩৫ হয়ে গেছে। কিন্তু তারা স্বাধীনভাবে একবারও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সংকট তৈরি হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থায় চরম ধস নেমেছে। তরুণরা ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছে; কিন্তু এখনো সেই স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারছি না। সেই জায়গায় তরুণদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, তাদের জেগে উঠতে হবে। তরুণদের সমন্বিত আন্দোলনের মাধ্যমে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তি, আইনের শাসন, শিক্ষা-চিকিৎসা-বাসস্থানের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা, ভঙ্গুর রাষ্ট্র কাঠামোকে মেরামত করে একটি আধুনিক স্বনির্ভর বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তরুণদের সংগঠিত করার লক্ষ্যেই এ সমাবেশ। তরুণদের নেতৃত্বে আগামী বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যেই এ সমাবেশ।

সূত্রমতে, তিন সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশগুলোয় গত বছরের বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আবহ তৈরি করতে চান নেতাকর্মীরা। এতে তরুণদের ব্যাপক উপস্থিতি বাড়াতে নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি সফল করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করা হচ্ছে। সারা দেশের সব ইউনিট নেতাদের সঙ্গেও ধারাবাহিক বৈঠক করছেন তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, আশা করছি তারুণ্যের সমাবেশে তরুণদের ব্যাপক উপস্থিতি হবে। কারণ, ১৫ বছর ধরে তরুণরা নানাভাবে অবহেলিত। উচ্চশিক্ষার পরও লাখ লাখ তরুণ বেকার। ভোটার হওয়া সত্ত্বেও তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না।

বিএনপি সমাবেশ ছয় শহর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম