Logo
Logo
×

শেষ পাতা

দাবদাহে মেহেরপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গাছতলায় ক্লাস

Icon

মেহেরপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দাবদাহে মেহেরপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গাছতলায় ক্লাস

ফাইল ছবি

একদিকে দাবদাহ, অন্যদিকে লোডশেডিং। এ অবস্থায় মেহেরপুরের শোলমারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিনশেড শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই বিদ্যালয়ের একটি গাছতলায় ক্লাস নিতে হচ্ছে শিক্ষকদের। গরমে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতিও কমে গেছে। সকালের দিকে দু-একটি ক্লাস টিনশেড কক্ষে নেওয়া গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাঁসফাঁস অবস্থার সৃষ্টি হয়। বাধ্য হয়ে গাছতলায় ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজেও গাছতলায় ক্লাস নেন এক প্রভাষক।

মেহেররপুর : মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী শোলমারি গ্রামে স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের উদ্যোগে ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ২০১৮ সালে এটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর জেলা পরিষদ একটি দুই কক্ষের পাকা ভবন নির্মাণ করে দেয়। যার একটি কক্ষে আর্থিক সংকটে দরজা জানালা লাগানো যায়নি। সেখানে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হয়। অপর কক্ষটি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন সময়ে স্থায়ী পাকা ভবনের জন্য আবেদন করা হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগে। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। জেলার সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থায়ী পাকা ভবন পেলেও একমাত্র শোলমারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি স্থায়ী পাকা ভবন পাচ্ছে না। বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাত্রী জানায়, একদিকে দাবদাহ, এর ওপর টিনশেডের গরম। কয়েকজন শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের অবস্থা বিবেচনা করে সোমবার থেকে বিদ্যালয়ের একমাত্র গাছের নিচে ক্লাস শুরু হয়েছে।

বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানায়, ৭ জুন থেকে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এই গরমে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না টিনশেড কক্ষে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব রহমান জানান, লোডশেডিং ও গরমে টিনশেডের কক্ষে কোনোভাবেই ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে না। সকাল ৯টায় ক্লাস শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তীব্রতায় বিদ্যালয়ের একমাত্র গাছের ছায়াতে পালা করে ক্লাস নিতে হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ের কারণে ক্লাসে যখন বসাই যায় না তখন শিক্ষার্র্র্থীদের নিয়মিত গাছতলায় ক্লাস নিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের এক প্রভাষক। পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়ের ওই শিক্ষকের নাম মো. মানিরুল হোসাইন। একাডেমিক ভবনের সামনে গাছতলায় সোমবার দুপুরে দেখা যায় ক্লাস নিচ্ছেন তিনি।

উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে এ ডিগ্রি কলেজটি। বর্তমানে গরম আর লোডশেডিংয়ের কারণে শ্রেণিকক্ষে সব শিক্ষার্থী যায় না। উপজেলা সদরের তুলনায় আশপাশের ইউনিয়নগুলোতে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও ব্যাপক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত গাছতলায় ক্লাস নেওয়ার কথা জানান ওই শিক্ষক।

চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওমর আলী বলেন, তীব্র গরমে আমার ওই শিক্ষক গাছ তলায় ক্লাস নেন। আমি তার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

দাবদাহ লোডশেডিং মেহেরপুর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম