Logo
Logo
×

শেষ পাতা

কালকিনিতে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে স্বেচ্ছায় জেলে প্রতারক

Icon

কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কালকিনিতে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে স্বেচ্ছায় জেলে প্রতারক

মাদারীপুরের কালকিনিতে সাড়ে ৩ কোটি টাকা মেরে স্বেচ্ছায় জেলে গেছেন মাসুদ আলম নামে এক প্রতারক। তিনি উপজেলার চরদৌলতখান এলাকার আলমগীর খানের ছেলে।

জানা গেছে, মাসুদ আলম ঢাকাতে গ্লোবাল লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি খুলে তার গ্রামে প্রচার চালান। কোম্পানিতে কেউ টাকা জমা রাখলে দ্বিগুণ লাভবান হওয়া যায় বলে ধারণা দেন গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে। মাসুদ আলম এ মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে সিডিখান এলাকার ভুক্তভোগী ইয়ার হোসেন, রাসেল, সুজন খান, হাবিব, আবদুলসহ ৬ শতাধিক দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এ ছাড়া তিনি দুবাই গিয়ে সেখানেও প্রতারণার জাল পেতে প্রবাসীদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে দেশে এসে আত্মগোপন করেন। পাওনাদাররা কোনো প্রকার সুবিধা না পেয়ে টাকা ফেরত পেতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এতে মাসুদ আলম পুনরায় গা ঢাকা দেন। মাসুদ আলম পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচতে কৌশল খাটিয়ে নিজের চাচা মাহাবুব খানকে দিয়ে মাদারীপুর কোর্টে একটি প্রতারণা মামলা করান। এ মামলায় মাহবুব আলম সম্প্রতি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে কোর্ট তাকে জেলে পাঠান।

ভুক্তভোগী রাসেল ও সুজনসহ একাধিক যুবক বলেন, আমাদের মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে মাসুদ সাড়ে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

অভিযুক্ত মাসুদ আলমের বোন বেলা বেগম বলেন, মানুষ তো যেনে-শুনে আমার ভাইকে টাকা দিয়েছে। আমার ভাই সবার টাকা দিয়ে দেবে।

মাসুদ আলমের চাচা মামলার বাদী মাহাবুব খান জানান, আমি টাকা পাব তাই মামলা করেছি।

কালকিনি থানার ওসি মো. শামীম বলেন, মাসুদ আলম বাঁচার জন্য চাচাকে দিয়ে মামলা করিয়ে জেলহাজতে গিয়ে নিজেকে নিরাপদ করেছেন।

কালকিনি তিন কোটি টাকা জেল প্রতারক

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম