Logo
Logo
×

শেষ পাতা

গাইবান্ধায় যৌতুকের জন্য গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা

মামলা হলেও গ্রেফতার নেই

Icon

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গাইবান্ধায় যৌতুকের জন্য গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা

যৌতুকের ৫ লাখ টাকার জন্য ওরা আমার মেয়েটাকে গরম ইস্ত্রির ছ্যাঁকা দিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোড়া ক্ষত নিয়ে গাইবান্ধা হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে মেয়েটা। মামলা হলেও পুলিশ ওদেরকে ধরতে পারল না। আমি এখন কার কাছে বিচার চাইব। এই কথাগুলো বলে আহাজারি করছিলেন যন্ত্রণায় কাতর মরিয়মের মা ছামিনা বেগম।

জানা যায়, গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা মহির উদ্দিনের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মরিয়ম বেগম। পাশের বাদিয়াখালী ইউনিয়নের স্টেশন বাদিয়াখালী গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে রাশেদ প্রধানের সঙ্গে দুই বছর আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য মরিয়মের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। মেয়ের সংসার টিকিয়ে রাখতে দেড় লাখ টাকার ফার্নিচারও দেন বাবা মহির উদ্দিন। ভেবেছিলেন মেয়ের সংসারে এই বুঝি শান্তি আসবে। কিন্তু, বিধিবাম। যৌতুকের জন্য তার মেয়ের সংসারে আবারও নেমে আসে অশান্তি। স্বামী রাশেদ ৫ লাখ টাকার জন্য মরিয়মের ওপর ফের নির্যাতন শুরু করেন। শাশুড়ি রাশেদা বেগম ও শ্বশুর ওমর ফারুকও মরিয়মকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এতে সে রাজি না হওয়ায় ৪ জুন তাকে ঘর থেকে বের করে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে স্বামী রাশেদ ইস্ত্রি গরম করে মরিয়মের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দেন। মেয়ের এ অবস্থার কথা শুনে বাবা মহির উদ্দিনসহ স্বজনরা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর ভর্তি করান গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে। হাসপাতালের বিছানায় এখন যন্ত্রণায় ছটফট করছেন মরিয়ম।

এ ঘটনায় মহির উদ্দিন পাষণ্ড জামাই রাশেদসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এত কষ্ট করে মেয়েকে পড়ালেখা শিখিয়ে বিয়ে দিয়েছি। ফার্নিচারসহ সব কিছু দিয়েছি। তবু শান্তি পায়নি আমার মেয়েটা। তাকে গরম ইস্ত্রির ছ্যাঁকা দিয়ে পুড়ে দিল। আমি মামলা করলাম। কিন্তু পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না। আসামিরা বাড়িতেই আছে, কিন্তু কেন তাদের গ্রেফতার করা হলো না? আমি এর বিচার চাই। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি (তদন্ত) ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, মামলার পর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করেছি, কিন্তু তাদের পাওয়া যায়নি। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম