বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম স্মৃতি রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন পাঁচ সাংবাদিক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যুগান্তর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার মো. নুরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনাসভায় যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম এমপি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলমসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম স্মৃতি রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়া সাংবাদিকরা -যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রথমবারের মতো চালু হলো ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম স্মৃতি রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’। এবার এ অ্যাওয়ার্ড পেলেন যুগান্তরের পাঁচ সাংবাদিক।
তারা হলেন যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি দেলোয়ার হুসেন, সিনিয়র রিপোর্টার কাজী জেবেল, স্টাফ রিপোর্টার তারিকুল ইসলাম, বরিশাল ব্যুরোপ্রধান আকতার ফারুক শাহীন ও কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে যুগান্তর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সেরা প্রতিবেদনের সনদ ও অর্থমূল্য তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কার তুলে দেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, যুগান্তরের প্রকাশক এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি। এ সময় যমুনা গ্রুপ ও যুগান্তরের ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। আলোচিত প্রতিবেদন, বিশেষ ইভেন্ট কাভারে পারদর্শিতা, অফিস শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা, বহুমাত্রিক কর্মদক্ষতা এবং সংবাদ লেখায় নৈপুণ্য ও পরিশীলতা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম স্মৃতি রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদানে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন যুগান্তরের প্রধান বার্তা সম্পাদক আবদুর রহমান ও সদস্যসচিব প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম।
এছাড়া কমিটির বাকি দুই সদস্য যথাক্রমে নগর সম্পাদক মিজান মালিক ও মফস্বল সম্পাদক নাঈমুল করীম নাঈম। তারা যাচাই-বাছাই করে ঢাকায় তিনজন এবং ঢাকার বাইরে দুজন রিপোর্টারকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেন।
প্রসঙ্গত, দেশের অর্থনীতির সফল আইকন, শিল্পের মহানায়ক, যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ১৩ জুলাই চিরবিদায় নেন। ১৯৭১ সালে রণাঙ্গনে প্রথম সারির বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তিনি। নিজের মেধা, সততা, পরিশ্রম ও সাহসিকতার সঙ্গে একে একে গড়ে তোলেন ৪১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
সৃষ্টি করেন হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। আপসহীন এ কর্মবীর দেশকে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। তাই দেশের বাইরে তার কিছুই নেই। অর্থ পাচার ও ঋণখেলাপির ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে আজ যে ঋণখেলাপির সংস্কৃতি দৃশ্যমান, তা থেকে তিনি পুরোপরি মুক্ত। এক টাকাও ঋণখেলাপি ছিলেন না তিনি।
