ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সম্মেলন
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান
বাংলাদেশে পরিবেশ চমৎকার -পরিকল্পনামন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ বিনিয়োগের পরিবেশ ভালো। তারুণ্যের এ দেশে বিনিয়োগের সুবিধা বেশি। তাই কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, দেশে বর্তমানে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের বেশ কয়েকটিতে ইতোমধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। আগামীতে আর বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শেষ হবে। তখন দেশে আরও বিনিয়োগের সুযোগ বাড়বে। রাজধানীর একটি হোটেলে ‘কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম’র একাধিক আলোচনায় বক্তারা বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন।
দুদিনব্যাপী এ সম্মেলনের শেষদিনে ৯টি অধিবেশনে ব্যাংকিং প্রযুক্তি, ক্যামেরুনের অর্থনীতি, ওষুধশিল্প ও জনস্বাস্থ্য, এসএমই, সবুজ অর্থায়ন, পর্যটন এবং আন্তর্জাতিক সাপ্লাই চেইন নিয়ে আলোচনা হয়। কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের (সিডবিউইআইসি) সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সম্মেলনের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের উদ্বোধন করেন। এ সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ১৩ মন্ত্রীসহ ৩০০ জনের বেশি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
সম্মেলনের সমাপনী দিনে ‘বিনিয়োগ আকর্ষণে কমনওয়েলথ দক্ষতা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি এমএ মান্নান বলেন, বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ আছে। দেশের উন্নয়নের জন্য আমাদের পুঁজি চাই। আমাদের দেশে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে ওষুধশিল্পে।
বিনিয়োগ বিষয়ে আজ আলোচনা হলো, দেখা যাক সামনের দিনে কী হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা অবাধ চলাচল চাই-সেটা শ্রমের হতে পারে, বিনিয়োগের হতে পারে। আপনারা আসুন, বিনিয়োগ করুন। আমাদের আইন অনুযায়ী ব্যবসা করুন। মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। সরকার ইতঃপূর্বে তা কমানোর জন্য দরিদ্রদের স্বল্পমূল্যে চাল, ডাল ও তেল দিয়েছে। আশা করি, আগামীতে মূল্যস্ফীতি কমবে।
ব্যাংকিং অ্যান্ড প্রফেশনাল সার্ভিস-এনহ্যান্সিং এক্সেস শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, দেশের ব্যাংক খাতের উন্নয়নে করপোরেট গভর্ন্যান্স বাস্তবায়ন করা জরুরি এবং সেটা প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজে থেকে শুরু করতে হবে। তিনি আরও বলেন, পেপারলেস আর্থিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংক অর্থ খাতের ঝুঁকি কমাবে। প্রচলিত ব্যাংকে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে কাগজপত্র যাচাই করা সময়সাপেক্ষ এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়।
ডিজিটাল ব্যাংকে ক্রেডিট রেটিং ভার্চুয়াল হবে বলে সেখানে কোনো ঝুঁকি থাকবে না। গ্রাহকের ডিজিটাল লেনদেনই তার আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ হিসাবে বিবেচিত হবে। ব্যাংকিং সেবাকে আরও সহজলভ্য করতে আমাদের নানামুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। তার মধ্যে একটি হলো, অটোমেশন পদ্ধতিতে কাজ করা
। মরিশাস স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও আবরার এ আনোয়ার বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য এখন ‘ব্যাংকিং অ্যাজ এ সার্ভিস’ ধারণার প্রসার লাভ করেছে। যেখানে স্টার্টআপ এবং অন্যান্য প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যে গ্রাহকের পরিচয় যাচাই করে সেবা প্রদান করছে। অর্থ খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
পৃথক আরেক সেমিনারে ক্যামেরুনে বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে সেমিনারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা এ সরকারের মেয়াদকালেই ‘লুক আফ্রিকা’ নামে একটা পলিসি আরোপ করেছি-যার মাধ্যমে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে নতুন করে আমাদের অ্যাম্বাসি খোলা হয়েছে। আপনারা খেয়াল করবেন, বাংলাদেশ এবং ক্যামেরুনের মধ্যে বিভিন্ন মিল রয়েছে। আমাদের রপ্তানি খুবই অল্প, আমদানি প্রায় ১৬০ মিলিয়ন ডলারের মতো। আমরা এখন সেখানকার ভেইকেলটা ব্যবহার করতে চাই।
