Logo
Logo
×

শেষ পাতা

চবি ছাত্রলীগের দুই উপ-গ্রুপের সংঘর্ষ

Icon

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চবি ছাত্রলীগের দুই উপ-গ্রুপের সংঘর্ষ

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই উপ-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দোকানে সিক্সটি নাইন ও সিএফসি উপগ্রুপের সিনিয়র ও জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই শাহজালাল হলে অস্থানরত সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মী ও শাহ আমানত হলে অবস্থানরত সিএফসির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পালটাধাওয়া চলে। রাম-দা, লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা গেছে তাদের। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে হলে ফেরত পাঠায়।

এ ঘটনায় পালটাপালটি দোষারোপ করছেন দুই পক্ষের নেতারা। শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা সাইদুল হক সাইদ বলেন, দুই-আড়াই মাস আগে সিএফসি আর সিক্সটি নাইনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এ নিয়ে পালটাপালটি দুটি মামলাও হয়েছিল। আমরা চাচ্ছিলাম নিজেদের মধ্যে কথা বলে এসব মামলা তুলে নিতে। কিন্তু এর মধ্যে তারা আমাদের ছেলেদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমাদের ছেলেরা তাদের প্রতিহত করেছে।

শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সিএফসির নেতা মির্জা খবির সাদাফ বলেন, আমাদের ছেলেরা বিকালে হলের সামনে খেলছিল। তখন ওই গ্রুপের একজন মদ্যপ অবস্থায় এসে তাদের সঙ্গে ঝামেলা করে ও ধাক্কা দেয়। এ নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। চবি মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব বলেন, আমাদের এখানে ৫ জন এসেছিল। মাথায় ইট-পাথরের আঘাতের কারণে ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও একজনকে হাটহাজারীতে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এরপর দুই পক্ষকেই শান্ত করে যার যার হলে পাঠিয়ে দিয়েছি। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।

চবি ছাত্রলীগ দুই উপ-গ্রুপ সংঘর্ষ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম