১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আরও ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নতুন করে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে (প্রত্যেককে এক কোটি) ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-চিস গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সিন্ডিকেট, রিপা এন্টারপ্রাইজ, এসএম করপোরেশন, বিডিএস করপোরেশন ও জুনুর ট্রেডার্স। দেশে প্রতিদিন ৪ কোটির বেশি ডিমের প্রয়োজন হয়।
এর আগে সোমবার চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এ নিয়ে মোট ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হল। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, বাজার মনিটরিং করে যদি দেখা যায়, তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না, তাহলে আরও আমদানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
তিনি বলেন, গতমাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী একটি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ। আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য ১২ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে খুচরা পর্যায়ে এই দামে বিক্রি হচ্ছে না বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর দেখতে পেয়েছে। সেজন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে কিছু ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কোথা থেকে আমদানি করা হবে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, একটি কোম্পানি বলেছে,ভারত থেকে ডিম আনবে। তবে যেকোন উৎস থেকে তারা ডিম আনতে পারবে। যেখানে দাম কম পাবে, কিংবা যেখান থেকে দ্রুত আনতে পারবে।
আমদানিতে কোন শর্ত আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন শর্ত নেই। সুবিধামতো আনবে, যাতে ভোক্তারা কম দামে পান। তবে বিক্রির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যে দাম বেঁধে দিয়েছে, সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ ১২ টাকায় ডিম বিক্রি করতে হবে। যেসব দেশে অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা অন্য সমস্যা আছে, সেসব দেশ থেকে ডিম আমদানি করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন এই সিনিয়র সচিব।
সচিব বলেন, অবশ্যই আমরা দেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের বিষয়টি দেখব। দেশের মানুষের আর্থিক উন্নয়নে এই শিল্প দেশে গড়ে উঠুক, তা সবাই চায়। সরকারেরও মূল লক্ষ্য এটা। কিন্তু যখন এই সুযোগে বাজার থেকে কেউ বেশি মূল্য নিতে চায়, ভোক্তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যায়, তখন আমদানির কথা ভাবতে হবে।
