যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ প্রসঙ্গে মান্না
বাড়িতে তালা দিয়ে আ.লীগ নেতারা ঘুমিয়ে পড়েছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যুক্তরাষ্ট্র ভিসার বিধিনিষেধ আরোপ শুরুর পর বাড়িতে তালা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা ঘুমিয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, সেলফি তোলার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, বিএনপির নেতারা কাঁথা গায়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী থাকতেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে গিয়ে দেখেন তারা ঘরে তালা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন।
শনিবার রাজধানীর কাওরান বাজারে সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসাবে গণতন্ত্র মঞ্চ এ কর্মসূচি পালন করে।
মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এ অঙ্গীকারের কোনো দাম নেই। শেষবারের মতো বলি, কোনো আশা পূরণ হবে না। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মসূচি দিয়েছি। এর মধ্যে যদি ভালো হয়ে না যান, তাহলে আপনাদের ওপরে গজব নামবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ঢাকার রাস্তায় নৌকা নেমে গেছে-এ হলো সরকারের উন্নয়ন। সরকার এতই বেহায়া যে, তারা আর একটা সাজানো নির্বাচন করতে যাচ্ছে। তারা লুটপাটের সিন্ডিকেট তৈরি করে বাজারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। লুটপাটের মাফিয়া সিন্ডিকেটের স্বার্থরক্ষায় আরেকবার নীলনকশার নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার পুলিশ-প্রশাসন সবকিছুই পকেটে ঢুকিয়ে জনগণকে ডান্ডা মেরে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় আছে। এতদিন বিদেশিদেরও কোনো রকম একটা সমর্থন পেয়েছিল। এখন আর সেটাও পাচ্ছে না। খুব চিৎকার করলেন, বিরোধীরা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। এখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রতিদিন বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকার বলছে এবার সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতারাও বলছেন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এর মানে, আগেরগুলোয় ভোট ডাকাতি করেছেন? এবার সুষ্ঠু হবে। কারণ, বিদেশিরা চাপ দিচ্ছে। একদিকে বলছে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, অন্যদিকে রাত ৮টা পর্যন্ত আদালত চালু রেখে সাক্ষ্য নিয়ে মামলা শেষ করে জেলে ঢোকানোর ব্যবস্থা করছে।
সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, যতদিন এ জালিম সরকারকে আমরা বিদায় করতে না পারব, ততদিন রাজপথে লড়াই অব্যাহত থাকবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব বলেন, বিদেশে ধরনা দিচ্ছেন, দেশের মানুষের কাছে যাচ্ছেন না কেন? কারণ, আপনি ভোট চুরি করেছেন। এসবের জবাব আপনার দিতে হবে। সমাবেশ শেষে কাওরান বাজার মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে কাঁটাবন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, জেএসডির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান সাজু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নি শিখা জামালী, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা বাচ্চু ভূঁইয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান হাবীব প্রমুখ।
