Logo
Logo
×

শেষ পাতা

জাবিতে ছাত্রলীগের বাধায় নিয়োগ বোর্ড স্থগিত

Icon

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

জাবিতে ছাত্রলীগের বাধায় নিয়োগ বোর্ড স্থগিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং অ্যান্ড জিআইএসের নিয়োগ বোর্ডে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাধায় স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে রোববার সকাল ১০টায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং অ্যান্ড জিআইএসের একটি পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিয়োগ বোর্ড শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টায়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে প্রার্থীদের বের করে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুপুর ১২টায় উপাচার্যের সচিব গৌতম কুমার বিশ্বাস এসে প্রার্থীদের জানান, আজকের মতো বোর্ড স্থগিত। প্রার্থীদের পরবর্তী সময়ে চিঠির মাধ্যমে এ ব্যাপারে জানানো হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় রসায়ন বিভাগে তিনজনকে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা ইতোমধ্যে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তবে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদিয়া আফরিন পাপড়িকে নিয়োগ না দেওয়ায় উপাচার্য কার্যালয় অবরোধ করেছেন নেতাকর্মীরা।

রসায়ন বিভাগ সূত্র জানায়, নবনিযুক্ত তিন প্রভাষক ৩৯, ৪২ ও ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তারা প্রত্যেকেই নিজ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন। তবে ছাত্রলীগের সহসভাপতি পাপড়ি স্নাতকে পঞ্চম ও স্নাতকোত্তরে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় নকল করে বহিষ্কৃত ও প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও স্বাধীনতাবিরোধী কাউকে আমরা চাকরিতে দেখতে চাই না। স্বাধীনতার পক্ষের যোগ্য প্রার্থীরা নিয়োগ পাবেন, এটাই আমরা চাই।’ এ ঘটনার সঙ্গে রসায়ন বিভাগের নিয়োগের ঘটনার সম্পর্ক জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তো চাইলে ওইদিন সিন্ডিকেট সভা আটকে দিতে পারতাম। এ ঘটনার সঙ্গে রসায়ন বিভাগের নিয়োগের কোনো সম্পর্ক নেই।’ নিয়োগ বোর্ড স্থগিত হওয়ায় অসুবিধায় পড়েছেন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা পরীক্ষার্থীরা। প্রায় ২ ঘণ্টা অপেক্ষার পর পরীক্ষা না দিয়েই ফিরে গেছেন তারা। রাজধানীর খিলগাঁও থেকে পরীক্ষা দিতে আসা সুজন জানান, ‘আমি অফিস থেকে ছুটি নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছি। লম্বা সময় অপেক্ষা করার পর শুনি মৌখিক পরীক্ষা হবে না।’

ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিংয়ের পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ইনস্টিটিউটের জন্য শিক্ষক নিয়োগ খুবই জরুরি ছিল। একটি শূন্য পদের বিপরীতে ২৩ প্রার্থী ছিলেন। বোর্ড স্থগিত হওয়া খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, ‘ছাত্রলীগ যে দাবি জানিয়েছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সে দাবির সঙ্গে পুরোপুরি একমত। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা বিভাগের সর্বোচ্চ ফলাফলধারীকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অন্তত ৪০ শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে স্বাধীনতার বিপক্ষের কেউ নিয়োগ পায়নি।’

জাবি ছাত্রলীগ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম