Logo
Logo
×

শেষ পাতা

একনেকে ৪৪ প্রকল্প অনুমোদন

এলাকাভিত্তিক পানি ও বিদ্যুৎ বিল নির্ধারণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এলাকাভিত্তিক পানি ও বিদ্যুৎ বিল নির্ধারণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ধীরে ধীরে ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর অংশ হিসাবে আপাতত এলাকাভিত্তিক এবং আয়ভিত্তিক বিদ্যুৎ ও পানির দাম নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যাদের আয় বেশি তারা যে ভর্তুকি সুবিধা পান, গরিব মানুষও একই সুবিধা ভোগ করছেন। এটা ঠিক নয়। কেননা যারা গরিব মানুষ তাদের জন্য ভর্তুকি মূল্য অব্যাহত থাকবে। কিন্তু যাদের আয় বেশি তাদের বেশি দামে বিল দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তিনি একথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন তিনি। এটি বর্তমান সরকারের শেষ একনেক বৈঠক। বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

বৈঠকে ৪৪টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে শেরেবাংলা নগরে পার্ক নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন না দিয়ে ফেরত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, একেএম ফজলুল হক, আব্দুল বাকি প্রমুখ।

ব্রিফিংয়ে এমএ মান্নান বলেন, ‘পানি ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে পরিবারের সদস্য সংখ্যা বিবেচনায় নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, দাম নির্ধারণে যাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয় সেটিও দেখতে হবে। সেই সঙ্গে ঢাকা শহরে সুউচ্চ ভবন নির্মাণে সতর্কতা অবলম্বন করারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে বলেছেন, বিমান চলাচলে যাতে কোনো বাধার সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এছাড়া মহাসড়ক সংস্কারে টোল নিয়ে একটি তহবিল গঠনের কথা বলেছেন তিনি। গত একনেক বৈঠকে একই নির্দেশনা দিয়েছিলেন। রাস্তার ধারে জলাধার নির্মাণের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন যে কোনো প্রকল্পে জলাধার থাকতে হবে।’

তিনি জানান, অনুমোদন পাওয়া ৪৪ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩০ হাজার ১২৩ কোটি, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭ হাজার ৫৮৯ কোটি এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ১ হাজার ৬৩৯ টাকা ব্যয় করা হবে।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা সচিব বলেন, ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকায় পার্ক নির্মাণ প্রকল্পটি উপনস্থাপন করা হলেও সেটি অনুমোদন পায়নি। প্রধানমন্ত্রী এটিকে পরে দেখে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো- ঢাকার শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকায় বহুতল সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প। ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ১২৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প।

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার সংযোগকারী সড়ক যথাযথমানে উন্নীতকরণ প্রকল্প। ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর-বাঞ্ছারামপুর জেলা মহাসড়কটি যথাযথমানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প। রাজউক পূর্বাচল ৩০০ ফুট মহাসড়ক হতে মাদানী অ্যাভিনিউ সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।

সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ মহাসড়ক এবং কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প। চার লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের (এন-১) (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) ৪ বছরের জন্য পারফরম্যান্স-বেইজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প। গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ক্লিনারদের জন্য বহুতলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।

ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প। বর্ধিত ঢাকা পানি সরবরাহ রেজিলিয়েন্স প্রকল্প। ঢাকা স্যানিটেশন উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প। বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। মুগদা মেডিকেল কলেজের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প।

সাপোর্টিং ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য মাদার অ্যান্ড চাইল্ড বেনিফিট প্রোগ্রাম প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন এবং আনুষঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন প্রকল্প। আইসিটি শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণের জন্য নেকটারের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রকল্প। উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।

ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিক হেলথ প্রিভেনটিভ সার্ভিসেস প্রজেক্ট। যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-১ দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন (কম্পোনেন্ট ৩) প্রকল্প এবং মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ এর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প।

পানি বিদ্যুত

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম