Logo
Logo
×

শেষ পাতা

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি

৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন

Icon

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক উপাচার্য, সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় সাবেক উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নঈমুল হক চৌধুরী, উপপরিচালক (পরিবহণ ও উন্নয়ন) ফাহিমা খানম চৌধুরী, সহকারী রেজিস্ট্রার অঞ্জন দেবনাথসহ ৫৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

দুদকের জনসংযোগ শাখার উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম জানান, বুধবার দুদক অনুমোদন দেওয়ায় শিগগিরই সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা মামলা করবেন। দুদকের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদিত পদের বাইরে অতিরিক্ত ১০৯ জনকে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অস্থায়ীভাবে দেওয়া এসব নিয়োগে উপাচার্যের আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সংসদ-সদস্যের স্বজনও রয়েছে। 

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদে বেআইনিভাবে আটজনকে ডিন হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে ইউজিসির তদন্তে। ইউজিসির তদন্ত কমিটি বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ীভাবে (অ্যাডহক) নিয়োগপ্রাপ্তদের মেয়াদ না বাড়ানো, নীতিমালা লঙ্ঘন করে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের অতিরিক্ত বেতন-ভাতা ফেরত দেওয়া। 

জানা গেছে, নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে ভিসি ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অ্যাডহক ভিত্তিতে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দেয়। বিষয়টি নিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ইউজিসি ও দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্তে নামে। 
প্রতিবেদনে অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় ২০২২ সালের ২২ জুন দুদকের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও নঈমুল হক চৌধুরীকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি নতুন উপাচার্য হিসাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক এএইচএম এনায়েত হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
 

দুর্নীতি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম