গোপালগঞ্জ জেলার সাহিত্য নিয়ে বিশেষ আয়োজন
গোপালগঞ্জের সাহিত্য
মিন্টু হক
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২১, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মধন্য পূর্ণভূমি এই গোপালগঞ্জ। মধুমতি নদী বিধৌত এ জেলার শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সুপ্রাচীন। বিভিন্ন ঐতিহাসিকদের বর্ণনায় দেখা যায় বগুড়ার মহাস্থানগড়, রাজশাহীর পাহাড়পুর ও কুমিল্লার ময়নামতির মতো গোপালগঞ্জ জেলার অন্তর্গত কোটালীপাড়াও একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জনপদ। ষষ্ঠ শতকে এখানে গড়ে উঠেছিল নগর সভ্যতা। সে সময় একাধিক তাম্রপট্ট লিপিতে এ স্থানকে নবসৃষ্ট ভূমি বলে চিহ্নিত করেছে। প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক বাহক এ কোটালীপাড়া ছিল সাহিত্য সংস্কৃতির এক সুষম পাটাতন। এ ভূমিতে জন্ম নিয়েছেন যুগে যুগে মহান মনীষীরা। কবি মধুসূদন সরস্বতি, বিখ্যাত পণ্ডিত মহামহোপাধ্যায় রামনাথ সিদ্ধান্ত পঞ্চানন, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রী ডা. কালীপদ তর্কাচার্য, ড. কাজী দীন মোহাম্মাদ, আকাশবাণীর ভাষ্যকার সুধীর সমাজপতি, বিচারপতি উমাচরণ রায় চৌধুরী, প্রখ্যাত সাহিত্যিক ড. ধীরেন সেন, রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক রমেশ সেন, সংগীতজ্ঞ তারাপদ চক্রবর্তী, প্রখ্যাত নাট্যকার ও অভিনেতা সেতু সেন, ফার্সি ভাষার পণ্ডিত আব্দুর রহমান, লোকনাথ রায় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য, খান বাহাদুর হেমায়েত উদ্দিন চৌধুরী, মুন্সি রহিম উদ্দিন, লুৎফুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
ষাটের দশকের প্রধান কবি আবুল হাসান এ জেলারই কৃতী সন্তান। কালীদাসের ‘মেঘদূত’ সমমান ‘ললিত লবঙ্গ লতা’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা সংস্কৃত কবি কৃষ্ণনাথ এ অঞ্চলেরই প্রাচীন কবি। এ গ্রন্থের কপি লন্ডন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। এ ছাড়াও ২০০ বছর আগে কাশিয়ানী থানার শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে পূর্ণব্রহ্ম হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব ঘটে। শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরকে কেন্দ্র করে অঞ্চলটিতে গড়ে ওঠে একটি চমৎকার সাহিত্য ধারা। ‘মতুয়া দর্পণ’ ‘হরিদর্শন’ ‘মতুয়া সুহৃদ’ ইত্যাদি পত্রিকা শ্রীধাম ওড়াকান্দি থেকে প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও প্রখ্যাত আধ্যাত্মিক সাধক সাহিত্যিক হজরত মাওলানা শামসুল হক সাহেব (সদর সাব হুজুর) (রহ.) জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় গওহরডাঙ্গা নামক পবিত্র স্থানে আবির্ভাব ঘটে। তিনি শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং প্রায় ১০০টি গ্রন্থ রচনা করেন। ধর্মীয় গ্রন্থ ছাড়াও উচ্চ সাহিত্যমান সম্পন্ন অনেক গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘জীবন পাথেয়’, ‘মাতৃজাতির মর্যাদা’, ‘জীবনের পণ’, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কারণ’ প্রভৃতি।
রানী রাশমনির নাতী ‘নবগোপাল’-এর নামে এ শহরের নামকরণ করা হয় গোপালগঞ্জ। তারপর থেকে এখানে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে সভ্যতা ও সংস্কৃতি। তারও অনেক পর মহাকুমায় রূপান্তরিত হয় গোপালগঞ্জ শহর। ফলে নতুন ধারার সাহিত্য, শিল্প-সংস্কৃতি ও নাট্যচর্চার গতি লাভ করে ‘করনোনেশন’ থিয়েটার ক্লাবের মাধ্যমে। দেশ বিভাগের পর এ ‘করনোনেশন’ থিয়েটার ক্লাবের নতুন নামকরণ করা হয় ‘গোপালগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’ পরে আর এক দফা নাম পরিবর্তন করে রাখ হয় ‘মহাকুমা আর্ট কাউন্সিল’। স্বাধীনতা উত্তর বাংলা সাহিত্যে নতুন এক সক্রিয় ধারার সঞ্চার ঘটে। সে ধারাবাহিতকতায় মহকুমা আর্ট কাউন্সিলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘শিল্পকলা পরিষদ’। পর্যায়ক্রমে আজকের ‘শিল্পকলা একাডেমি’। এ দেশের শিল্প-সংস্কৃতি বেড়ে উঠেছে এ শিল্পকলা একাডেমির পৃষ্ঠপোষকতায়। মূলত এ সংগঠনকে কেন্দ্র করে শহরের সাহিত্য, সংগীত ও নাট্যচর্চার প্রসার লাভ করে। প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, অধ্যাপক রণদা প্রসাদ রায়, অভিলাস চন্দ্র পাল, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ সরকার, ডা. কাশেম রেজা, মহেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, অপর্ণা সরকার, মমতা দে, আমজাদ আলী, শহীদ আলী খান, ডা. ফরিদ আহমেদ, আবুল হোসেন ভূঁইয়া, আব্দুস সামাদ খান, ক্ষীরোদ বিশ্বাস প্রমুখের ভূমিকায় শিল্প-সংস্কৃতি ও সাহিত্যাঙ্গন আলোকিত হয়ে ওঠে।
বিশ ত্রিশ বছর আগেও গ্রাম বাংলার রসপ্রীতি বাঙালির বিনোদনের বড় মাধ্যম ছিল যাত্রাশিল্প এবং কবি গান। এ অঞ্চলের যাত্রাশিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারকে ত্বরান্বিত করতে যাদের ভূমিক অগ্রগণ্য সেসব গুণীদের মধ্যে বিধু রায় ও ধীরেন্দ্র কুমার বাগচি অন্যতম। বিধু রায় ছিলেন ‘রায় কোম্পানি’ নামক প্রাচীন যাত্রাদলের কর্ণধার। ধীরেন্দ্র কুমার বাগচি ছিলেন একাধিক যাত্রাদলের স্বত্বাধীকারী যেমন-দীপালী, আদি দিপালী, নব দিপালী ইত্যাদি।
ষাটের দশকটি বাংলাদেশ ও বাংলা সাহিত্যের জন্য ছিল এক উন্মাতাল কাল। সে সময় বাম প্রগতিশীল ধারার কবি, লেখক, সংগঠক এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরা স্বাধিকার চেতনায় ছিলেন উজ্জীবিত। শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক এবং আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক সবখানেই ছিল স্বাধীনতার জন্য উদগ্র বাসনা। ঠিক তখন দীপ্ত প্রত্যয় নিয়ে ‘গোপালগঞ্জ সংস্কৃতি সংসদ’ নামক একটি সংগঠনের জন্ম হয় গোপালগঞ্জ শহরে। ছাত্র নেতা ওলিউর রহমান লেবু, সুনীল দাস, শওকত চৌধুরীর নেতৃত্বে ‘রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত জয়ন্তী’ উদযাপনের আড়ম্বর আয়োজন করা হয় তৎকালীন সরকারের নিষেধাজ্ঞা ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে। প্রতিক্রিয়াশীল মহলের শত চক্রান্ত ও হামলা-মামলার ভয় পায়ে ঠেলে সংস্কৃতি সংসদের ব্যানারে সুচারু রূপে ওই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছিলেন গোপালগঞ্জের এ কৃতী সন্তানেরা। সে ধারাবাহিকতায় গোপালগঞ্জে যুদ্ধোত্তর সময়ে আরও কিছু সাহিত্য সংগঠন গড়ে ওঠে। প্রকাশিত হয় ‘আবির্ভব’ গোলাম কিবরিয়া কয়েছ সম্পাদিত। খেলাঘরের পক্ষ থেকে ‘খেলাঘর’, প্রতীক সাইফুল সম্পাদিত ‘রূপলী ফিতে’ ইত্যাদি। অধ্যাপক মহেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, আব্দুর রশিদ খান ঠাকুর, ডা. কাশেম রেজাসহ এমন কিছু প্রথিতযশা সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে ‘মধুচক্র’ নামক সাহিত্য সংগঠন গঠিত হয়। এ সংগঠনের উদ্যোগে সাহিত্য আড্ডার পাশাপাশি ‘মধুচক্র’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকাও প্রকাশ করে। ১৯৮৬ সালে গোলাম কিবরিয়া কয়েছ, রবীন্দ্রনাথ অধিকারী, গাজী লতিফের উদ্যোগে ‘গোপালগঞ্জ সাহিত্য পরিষদ’ গঠিত হয়। সংগঠনটি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। এ সময়ে ঢাকাসহ গোপালগঞ্জ জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোয় উল্লেখযোগ্য কবি সাহিত্যিক লেখকদের লেখা নিয়ে গোপালগঞ্জ ‘সাহিত্য পত্র’ নামে একটি মানসম্পন্ন মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। পরে জেলার বিভন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কিছু সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হয়। কবি গাজী লতিফ সম্পাদিত ‘দূর্বা’, রিজভী রিয়াজ সম্পাদিত ‘বর্ণসূত্র’, কবি সাঈদ জুবেরী সম্পাদিত ‘মাঠশালা’, কথাসাহিত্যিক সনোজ কুণ্ডু সম্পাদিত ‘শশী’, কবি ও গল্পকার মাহফুজ রিপন সম্পাদিত ‘ব্যাটিং জোন’ মাহমুদ সিমান সম্পাদিত ‘স্বপ্নপুর’ ইত্যাদি। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে। সে সংগঠনগুলো মননশীল সমাজ গঠনে অবদান রেখে চলেছে। ‘সন্ধ্যাতারা’, ‘দর্পণ নাট্যগোষ্ঠী’, ‘মধুমতি সাহিত্য ও সংস্কৃতিক পরিষদ’, ‘মধুমতি সাহিত্য গোষ্ঠী’, ‘উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’, ‘ত্রিবেনী সংগীত একাডেমী’, ‘সুর সন্ধান শিল্পগোষ্ঠী’, ‘সংশপ্তক’, ‘অদ্বিতি সাহিত্য সংগঠন’ ও ‘মধুমতি সাহিত-সাংস্কৃতিক সংগঠন’ ‘বিল্ড ফর নেশন’ ইত্যাদি।
শেখ হাসিনা ওয়াজেদ, শেখ কবির হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সৈয়দ আহম্মেদ বেগ, মোহাম্মাদ আলী সিকদার, বদরুল হায়দার, কচি রেজা, সোহেল রহমান, হাবিবুর রহমান, শাবান মাহমুদ, সিদ্ধার্থ টিপু, হারুন-অর-রশিদ (প্রতিক রশিদ), দীলতাজ রহমান, কুলদা রায়, পবিত্র বিশ্বাস, শেখ সাইফুল ইসলাম, মারজুক রাসেল, রাসেল আশেকী, গোলাম মোর্শেদ চন্দন, অরুণ কুমার বিশ্বাস, সারফুদ্দিন আহমেদ, সাঈদ জুবেরী, দেব জ্যোতি ভক্ত, ফরিদুজ্জামান, মিন্টু হক, মাহফুজ রিপন, রঞ্জনা বিশ্বাস, মাহবুবা লাকী, সুমন্ত রায়, খায়রুল বাকী শরীফ, রনি রেজা, মাসুমা ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, ইলা লিপি, পার্থসারথী, মেহেদী রাসেল, গিরীশ গৈরিক, জয়ন্ত আচার্য, দীপংকর গৌতম, মনিকা আচার্য। গোপালগঞ্জের এ কৃতী সন্তানেরা ঢাকা এবং প্রবাসে বসে নিজ জেলার কৃষ্টি-কালচারকে বুকে আগলে শিল্প ও সাহিত্যে অবদান রাখছেন লেখালেখির মাধ্যমে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় বসে নবীন-প্রবীণ-তরুণ যারা লেখালেখি করছেন তাদের মধ্যে পরিমল সরকার, গাজী লতিফ, রবীন্দ্রনাথ অধিকারী, রেশমা আক্তার হাসি, মশিউর রহমান সেন্টু, গোলাম কিবরিয়া কয়েস, হাসান আল-আব্দুল্লাহ, সেলিম ওমরাও খান, শেখ আব্দুল হান্নান, রুখসানা কাজল, চিন্ময় গোলদার, মোঃ শাহ আলম, হুমায়রা আক্তার, নাজমুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, হাচান ইমাম, আজিজুর রহমান বাদশা, পার্থপ্রতীম বিশ্বাস, মোঃ আতাউর রহমান, প্রদ্যোত রায়, মনোজ সাহা, মাহমুদুল হাসান, ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী, শ্রী মধু বিকাশ চৌধুরী, শারমিন সুলতানা রীনা, বেলায়েত হোসেন, আমির হোসেন খান, রুপম রোহান, এম. আজমানুর রহমান, দ্বীপাল বিশ্বাস দূর্জয়, জয়গোপাল বিশ্বাস, কহিনুর ইসলাম, সুব্রত শুভ্র, শাহাদাৎ, শফিকুর রহমান, সজল মাহমুদ, নারগিস সুলতানা, চাণৈক্য বাড়ৈ, আব্দুর রহমান, মিজানুর রহমান মানিক, শরিফুল ইসলাম, সুব্রত সাহা বাপি, এস. কে মিজান, নূর কুতুবুল আলম কুতুব, মোঃ উজ্জল মোল্লা, মোস্তাফিজুর রহমান কাইয়ুম, জঈন বাঙ্গালী প্রমুখ। টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় শরীফ ইমদাদ হোসেন, মোল্লা শহীদুল আলম, ফিরোজ আহমেদ, শ্যামল সেন, মেহেদী হাসান, কবিতা হক, অরুন রায় প্রমুখ। কোটালীপাড়ায় উপজেলায় খালেদ বিন জয়েন উদ্দিন, ফিরোজ সরোয়ার, নিউটন বিশ্বাস, অরুন কুমার বিশ্বাস, টিটব বিশ্বাস, কাজী সিহাব উদ্দিন লিটন, হাবিবুর রহমান প্রমুখ। কাশিয়ানী উপজেলায় কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর, ভক্তি বিকাশ ঘোষ, মুন্সী আহসান কবির, ইজরাইল খান, জাকির হোসেন, প্রবীর চক্রবর্তী, দ্বীপান্নিতা রায়, সাবরিনা ইসলাম নীল, মনিকা রায়, প্রদীপ রায়, সাজ্জাদ আলী, সেলিম কাজী, অতুল প্রসাদ, কামরুল হাসান, হাবিবুর রহমান হানিফ, রাজু আহমেদ, মোঃ সুলতানুল আলম খান, আলভী আহমেদ, সরদার ওলিয়ার রহমান, শেখ রাসেল, নুর মোহাম্মাদ কাজী, সাহিদুর রহমান মিটু, সৈয়দ ইনামুল হক, নাজমুল হক প্রমুখ।
মুকসুদপুর উপজেলায় পরিতোষ হালদার, নজরুল ইসলাম পান্নু, সনোজ কুণ্ডু, মোঃ ফিরোজ খান, মাহাবুব হাসান বাবর, জায়েদ হোসেন লাকী, সাফায়েত ঢালী, আশরাফ ফকির, আরিফা জিউলি, মোঃ জাকির হোসেন, আসমা খানম, মাহমুদা নাছরিন, খোরশেদা মল্লিক, অলিউল হক খান, মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম, নিমাই সরকার, মোতাচ্ছের হোসেন, এমডি কামাল হোসেন, মাসুদ সিমান, মোস্তাক আহমেদ খান, আমিরুল ইসলাম খান, আমিরুজ্জামান ফারুক, মোঃ ইমদাদুল হক, কামরুজ্জামান মুক্তা, অমল কৃষ্ণ দাস, মোসায়েদ হোসেন ঢালী, তহিদুল হক বকুল, আনিচ মুন্সী, মনিন্দ্র নাথ সরকার, অজিত কুমার সরকার, মেহেবুবা অন্তু, হাসান শিশির, কামরুন্নাহার, সানজিদা আফরোজ, ইলিয়াছ হোসেন, মাহমুদা আক্তার, মোজাহিদ মহসিন ইমন প্রমুখ।
স্বর্ণগর্ভা গোপালগঞ্জ জেলার প্রত্ন-সম্পদের তালিকাও বেশ বিপুল। এসব প্রত্ন-সম্পদগুলো কালের ধকলে বিপন্ন প্রায়। এ ঐতিহ্যবাহী জেলার বিভিন্ন জমিদার বাড়ি, প্রাচীন মসজিদ, মন্দির এবং গির্জাসহ ঐতিহাসিক স্থান-স্থাপনা এ জনপদের কালের সাক্ষী। এ জেলার প্রত্ন-সম্পদের মধ্যে কোটালীপাড়ার কোটাল দুর্গ, প্রাচীন বহলতলীর মসজিদ, উলপুর জমিদারবাড়ী, মথুরানাথ এ, জি, চার্চ, শ্রীধাম ওড়াকান্দি, সেন্ট মথুরানাথের সমাধিসৌধ, খান্দার পাড়ের ঐতিহাসিক রমেশ চন্দ্র মজুমদারের বাড়ী, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্জের পৈতৃক ভিটা, দিঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ী, ধর্মরায়ের বাড়ি, উজানীর জমিদারবাড়ী, কবি বিনয় মজুমদারের পৈতৃক ভিটা, কবি কৃষ্ণনাথ সার্বভৌম এর বাড়ি, জমিদার গিরীশ চন্দ্র সেনের বাড়ি, ঘাঘর কান্দা জামে মসজিদ, গোপালগঞ্জের কোর্ট মসজিদ, খাগাইল গায়েবি মসজিদ, মহারাজপুর জমিদারবাড়ী, গওহরডাঙ্গা সদর সাব হুজুরের সমাধি, বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
গোপালগঞ্জের প্রবাদ প্রবচন
১। বুঝলিনারে হেলি, বুঝবি দিন গেলি।
২। কালের অইছে অকাল, ছাগলে চাডে বাঘের গাল।
৩। কিডা কলো পেনদি, খাম ধইরা কানদি।
৪। ভাইয়েও মাঝি অইছে, গাঙেও চর পড়ছে।
৫। আসল হাওরী হেলাম পায় না, হতাই হাওরী পীরা বায়।
৬। ভিক্ষার চাল কাড়া-আকাড়া।
৭। ইল্লত যায় না মরলে, খাচ্ছত যায় না ধুইলে।
৮। নাইয়ার এক নাও, নি-নাইয়ার শত নাও।
৯। ডাঁটার নায়, চাটাম বুঝায়।
১০। আক্কলে খাইছে মাডি, বাফে-পুতে কান্দা-কাডি।
