Logo
Logo
×

খবর

সুস্থ থাকুন

হাঁপানি থেকে রক্ষার প্রাকৃতিক উপায়

Icon

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

হাঁপানি থেকে রক্ষার প্রাকৃতিক উপায়

ফাইল ছবি

অ্যাজমা অর্থ দ্রুত নিঃশ্বাস নেয়া। শীতকালে এ রোগের তীব্রতা বেড়ে যায়।

* বিছানা ও বালিশ প্লাস্টিকের শিট দিয়ে ঢেকে নিতে হবে বা বালিশে বিশেষ ধরনের কভার লাগিয়ে নিতে হবে।

* ধুলো ঝাড়াঝাড়ি করা চলবে না।

* ধোঁয়াযুক্ত বা খুব কড়া গন্ধওয়ালা কোনো পরিবেশে থাকা চলবে না।

* আলো-হাওয়াযুক্ত, দূষণমুক্ত খোলামেলা পরিবেশে থাকা দরকার। কারণ স্যাঁতসেঁতে জায়গায় ফাঙ্গাল স্পোর অনেক সময় হাঁপানির কারণ হয়।

* হাঁপানি রোগীর আশপাশে ধূমপান বর্জনীয় ও মশার কয়েল জ্বালানো যাবে না।

* অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্যও হাঁপানি রোগীরা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাই নিজের শরীরের অবস্থা বুঝে পরিশ্রমের ঝুঁকি নেয়া উচিত।

* হালকা খাওয়া-দাওয়া করা উচিত যাতে হজমের কোনো অসুবিধা না হয়। কারণ বদহজম এবং অম্বল থেকেও হাঁপানি হতে পারে। যে খাবারে অ্যালার্জি আছে তা বর্জন করে চলতে হবে।

* প্রয়োজনে স্থান ও পেশা পরিবর্তন করতে হবে। শুধু নিয়ম মেনে চললেই এই ধরনের রোগীরা শতকরা পঞ্চাশ ভাগ ভালো থাকেন।

* প্রয়োজনমতো ওষুধ ব্যবহার করে রোগী সুস্থ থাকতে পারেন। সতর্ক জীবনযাপন ও চিকিৎসার মাধ্যমে শতকরা ৮০ ভাগ হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

* তীব্র হাঁপানিতে খাবার ওষুধের চেয়ে ইনহেলার (Inhaler) বা রোটাহেলার (Rotahaler) ব্যবহার করাই বেশি ভালো।

* খুব বেশি শ্বাসকষ্ট থাকলে নেবুলাইজার নামক যন্ত্রের সাহায্যে রোগীকে হাঁপানির ওষুধ দেয়া হয়ে থাকে।

হাঁপানি রোগীর খাদ্য ও পথ্য

বেশি খাবেন-

* কুসুম গরম খাবার, মৌসুমি ফলমূল, ছাগলের দুধ (তেজপাতা, পুদিনা ও কালোজিরাসহ), আয়োডিনযুক্ত লবণ ও সৈন্ধব লবণ, মধু, স্যুপ, জুস, কালোজিরার তেল, আদা ও পুদিনার চা।

খাবেন না-

মিষ্টি দধি ও মিষ্টান্ন, ফ্রিজের কোমল পানীয়, আইসক্রিম, ফ্রিজে রাখা খাবার, ইসুবগুল ও গ্রেবি জাতীয় খাবার, কচুর লতি, তিতা জাতীয় খাবার, পালংশাক ও পুঁইশাক, মাশকলাই, মাটির নিচের সবজি যেমন- গোল আলু, মিষ্টি আলু, শালগম, মূলা, গাজর ইত্যাদি। এছাড়াও ইলিশ মাছ, গরুর গোশত, চিংড়ি মাছ, পাম অয়েল, ডালডা ও ঘি, অধিক আয়রনযুক্ত টিউবওয়েলের পানি।

হাঁপানি রোগীর পোশাক-পরিচ্ছদ

* কটন জাতীয় গরম ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে।

* সিল্ক, সিনথেটিক, পশমি কাপড় পরিধান না করাই উত্তম।

* পাতলা বালিশ ও নরম বিছানায় শোয়া উচিত।

* বাসস্থান শুষ্ক ও পর্যাপ্ত সূর্যের আলো-বাতাসসম্পন্ন হওয়া উচিত।

ডা. আলমগীর মতি

হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক

মডার্ন হারবাল গ্রুপ, ঢাকা।

মোবাইল : ০১৯১১৩৮৬৬১৭

অ্যাজমা রোগী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম