|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কথায় বলে পেট ঠিক তো দুনিয়া ঠিক, যার পেট আছে তার সমস্যাও আছে, যার পেটে সমস্যা তার শরীরেও সমস্যা লেগেই থাকবে। পেটের সমস্যাগ্রস্ত রোগীর ভোগান্তির অন্ত নেই। আইবিএস অনেকের কাছে একটি আতঙ্কের নাম। আইবিএসের (ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম) রোগীরা দীর্ঘমেয়াদি পেটের সমস্যা, অর্থাৎ বদহজম, আমাশা চির জীবনের সঙ্গী হয়ে যায়। পেটে হঠাৎ করে কামড় দেবে এবং সঙ্গে সঙ্গে বাথরুমে যেতে হবে। এমনও ব্যক্তি আছে যাদের দিনে চার-পাঁচ বার বাথরুমে যাওয়া লাগে। ভোরবেলা একবার, ঘুম থেকে ওঠার পর একবার, সকালে নাশতা খাওয়ার পর একবার, বিকালে ও রাতে একবার করে, অনেক সময় খাবার খাওয়ার পরপরই বাথরুমে যেতে হয়। সারা দিন পেট ডাকে ও পেটের মধ্যে ভুটভাট করে। পেটের অশান্তি বড়ই অশান্তি। যার সমস্যা হয় সে জানে পেটের জ্বালা কী জ্বালা।
ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) : এই রোগ নির্ণয়ের জন্য সাধারণত কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। রোগী যে সমস্যা বা রোগের বর্ণনা দেয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাতেই রোগ নির্ণয় হয়ে যায়। রোগীর মুখের কথায় যাবতীয় লক্ষণ পাওয়া যায়। হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতি লক্ষণভিত্তিক সদৃশ বিধান।
আইবিএসের উপসর্গ : বদ হজম, পেটের মধ্যে ভুটভাট শব্দ করে, পেটের মধ্যে কোককোক করে ডাকা বা আহারের পর পেটের অশান্তি বৃদ্ধি, পায়খানার সঙ্গে বিজল যায়, পেটে কামড় দিয়ে ব্যথা করে, বাথরুম সারার পরও মনে হয় যেন এখনও ভেতরে কী যেন আটকে আছে। বাথরুম করার পর কিছু সময়ের জন্য আরাম অনুভব হবে। মাঝে মধ্যে বাথরুম নরম হবে, আবার কিছু দিন কোষ্ঠকাঠিন্য হবে। বিষণ্নতা ও উদ্বিগ্নতাকে এ রোগের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইবিএসের রোগীরা অনেকে নিজেদের সমস্যা নিজেরা চিহ্নিত করতে পারে। কোনো খাবার খেলে সমস্যা বাড়ে এবং পেটের সমস্যা কমে তা রোগীরা অনুভাব করতে পারে।
নিষেধ : আইবিএসের রোগীদের আমরা চর্বিযুক্ত খাবার, তৈলাক্ত খাবার, আশযুক্ত খাবার, যব, গম, গমের তৈরি খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। শাক-সবজি, ফল, সালাদ ইত্যাদি নিষেধ। হোটেলের খাবার, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার বন্ধ, তবে ছানা খাওয়া যাবে। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার ও গুরুপাক বর্জন করতে হবে।
পরামর্শ : নরম ভাত, হালকা ঝোলের তরকারি, কাঁচা-পাকা পেঁপে, কাঁচা-পাকা বেল খাবেন, গরম গরম টাটকা খাবার খেতে হবে। বাসি পচা খাবার খাওয়া যাবে না।
চিকিৎসা : আইবিএসের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞানভিত্তিক মেডিকেল শাস্ত্রে অনেক আগেই ‘আইবিএস’র মেডিসিন আবিষ্কার হয়েছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া আইবিএস রোগের চিকিৎসায় সুফল পাওয়া অনেক কঠিন।
ডা. এসএম আবদুল আজিজ
আল-আজিজ হেলথ সেন্টার
পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল ফোন : ০১৭১০২৯৮২৮৭
