Logo
Logo
×

খবর

ওদের টার্গেট ঢাকার ভোরের যাত্রীদের

হ্যাঁচকা টানে নারীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বীকারোক্তি, গ্রেফতার ৪ জনের তিনজন রিমান্ডে

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর মুগদায় ছিনতাইকারীর হ্যাঁচকা টানে তারিনা বেগম লিপা হত্যার ঘটনায় ছিনতাই চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তারা হলেন- মিজুয়ান মিয়া, শেখ লিটন, আবদুল মজিদ ও রফিক হাওলাদার। এদের মধ্যে মিজুয়ান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ২৯ ফেব্রুয়ারি ভোরে মুগদায় ছিনতাইয়ের সময় লিপা নিহত হওয়ার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার প্রসঙ্গে বলেন, দক্ষিণ মুগদার ইউনিক বাস কাউন্টার অতিক্রম করার পর আমরা লিপার হাতের ব্যাগ ধরে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে টান দিই। ওই সময় লিপা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রিকশা থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। পরে তিনি মারা যান।

রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, লিপা নিহত হওয়ার পর ওরা সবাই গা ঢাকা দেয়। শনিবার রাতেও চক্রটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার প্রস্তুতির সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুগদা এলাকা থেকে তাদের আটক করি। এ সময় তাদের কাছ থেকে গুলিভর্তি একটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি ছুরি, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেট কার এবং নিহত লিপার একটি ট্যাব ও নগদ এক হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। নগরীর বিভিন্ন সড়কে প্রাইভেট কারসহ তারা অবস্থান করে। তাদের টার্গেট ভোরের যাত্রীরা। তাদের কাজই হচ্ছে সুবিধাজনক স্থানে টার্গেট ব্যক্তির অস্ত্রের মুখে সর্বস্ব লুট বা হ্যাঁচকা টানে ব্যাগ কেড়ে নেয়া।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে লিপা হত্যার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন মিজুয়ান মিয়া। বাকি তিনজনকে রিমান্ডে পাঠায় ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান। এর মধ্যে লিটন শেখ ও আবদুল মজিদের ৩ দিন এবং রফিক হাওলাদারের একদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। স্বীকারোক্তির রেকর্ড শেষে আদালত মিজুয়ানকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন। ২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার জন্য ভোররাতে লিপার ঘুম ভাঙে। ট্রেন ছাড়ার সময় ছিল সকাল ৬টা ২০ মিনিট। তাই ফজরের নামজ শেষে ভোর ৫টা ২০ মিনিটের দিকে তারা রাজারবাগের বাসা থেকে পৃথক দুটি রিকশা করে কমলাপুর রেলস্টেশনের উদ্দেশে রওনা হন। সামনের রিকশায় লিপা ও তার ছেলে এবং পেছনের রিকশায় লিপার স্বামী ও মেয়ে ছিলেন। মিজুয়ান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, ওইদিন ভোরে আমরা খিলগাঁও ফ্লাইওভার থেকে কমলাপুর স্টেডিয়ামের মাঝামাঝি অবস্থান করছিলাম। লিপা রিকশাযোগে যাওয়ার সময় তার হাতের ব্যাগটি নেয়ার জন্য টান দিই। মিজুয়ান জানান, এ সময় তাদের বড় ভাই মনা গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পরে তারা টয়েনবি সার্কুলার রোড ফকিরাপুল, মতিঝিল ঘুরে মিরপুর টেকনিক্যালে আরও একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাই। তারপর বাসায় ফিরে যাই।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন জানান, মনা পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার লিটন ও মনার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় চারটি করে মামলা রয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম