গ্রামবাসী ও বিজিবি হত্যা
মাটিরাঙ্গায় এখনও গ্রেফতার আতঙ্ক
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার গাজীনগরে সহিংসতার ১২ দিন পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। ৭০ গ্রামবাসীকে আসামি করে বিজিবি মামলা করার পর থেকে গ্রামজুড়ে গ্রেফতার আতঙ্ক। ৩ মার্চ গাছ কাটা কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত ও ১ জন গুলিবিদ্ধ হন। নিহতদের মধ্যে ১ বিজিবি সদস্য ও ৪ গ্রামবাসী রয়েছেন। এ ঘটনায় মাটিরাঙ্গা থানায় পাল্টা মামলা করেছে বিজিবি ও নিহতদের পরিবার।
বিজিবির মামলা প্রত্যাহার দাবি করেছেন নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা। তারা বলেছেন- বিজিবি একতরফা গুলি করে দুই পরিবারের ৪ জনকে হত্যা করেছে। এতে গ্রামবাসীর সংশ্লিষ্টতা নেই। ঘটনার দায় অস্বীকার করে সরকারি কাজে বাধা ও বিজিবি সদস্য হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন বিজিবির হাবিলদার ইসহাক আলী। মামলায় নিহত ৪ গ্রামবাসীসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ৮৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে সহিংসতার ৬ কার্যদিবস পর ৭ পাতার প্রতিবেদন জমা দেয় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার রিজাউল করিম জানান- তদন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে হয়েছে। প্রকাশ্যে ও গোপনে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
বিজিবির মামলার আসামি বাবু জানান, ঘটনার দিন তিনি ও তার ভাই খাগড়াছড়ি আদালতে ছিলেন। আদালতে হাজির থাকার প্রমাণও রয়েছে। অথচ মামলায় তাকে ১৬ নম্বর ও তার ভাইকে ৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমরান হোসেন জানান, নতুন বিদ্যুৎ লাইনের জন্য কাটা ৫ টুকরো কাঠ পরিবহনের সময় বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে সাহাব মিয়া ও মফিজ মিয়ার পরিবারের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় গ্রামের অন্য কেউ সেখানে ছিলেন না। গ্রামবাসী হামলা করলে ঘটনাস্থলে থাকা বিজিবির গাড়িও ভাঙচুর হতো। অথচ ঘটনাস্থলে থাকা বিজিবির গাড়িটি অক্ষত ছিল। মাটিরাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলাউদ্দিন লিটন জানান, বিজিবির সদস্য শাওনের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নেয়া সম্ভব নয়। ঘটনার সময়ের প্রাপ্ত ২১ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে শাওনের কাছে কোনো অস্ত্র দেখা যায়নি। পঞ্চাশ বছর বয়সী মফিজ মিয়া একজন প্রশিক্ষিত বিজিবি সদস্যের কাছ থেকে কিভাবে অস্ত্র কেড়ে নেবে?
