Logo
Logo
×

খবর

চার বছর পর জানলেন তার নামে চালের কার্ড আছে

ছাতকে কারসাজি করায় ইউপি সদস্যকে জুতাপেটা

Icon

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের হাতধনালী গ্রামের হতদরিদ্র যুবক তোফায়েলের নাম আছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায়। তবে বিষয়টি তিনি চার বছর পর জানতে পেরেছেন। এ ঘটনায় তোফায়েলের মা জেসমিন আক্তার ডলির সঙ্গে খারাপ আচরণ করে ইউপি সদস্য এমরান মিয়া। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ডলি ইউপি সদস্যকে জুতাপেটা করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে ইউপি সদস্য দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য এমরান মিয়া ভুয়া তোফায়েল সাজিয়ে খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে প্রায় ৪২০ কেজি চাল উত্তোলন করে লুটপাট করে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতে হাতধলানী পুড়াকাটি গ্রামের মন্তাজ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমল বাবু দাস তোফায়েল আহমদের বাড়িতে আসে। তালিকায় সবকিছু ঠিক থাকলেও ভোটার আইডির অমিল দেখতে পান তিনি। তোফায়েল আহমদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমি ১০ম শ্রেণিতে পড়ি। পাশাপাশি দিনমজুরের কাজ করি। অথচ মেম্বার আমাদের সঙ্গে কী প্রতারণা করেছেন। ইউপি মেম্বার এমরান মিয়ার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ জানান, ১০ টাকার চাল বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। এটা যাছাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। যাচাই-বাছাই শেষ না হওয়া পর্যন্ত ১০ টাকার চাল বরাদ্দ না করার সুপারিশ করেছি। উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শাহাবুদ্দীন বলেন, তালিকা অনুযায়ী চাল বিতরণ করা হয়। কেউ যদি নাম থাকার পর চাল না পায়, তবে ডিলারশিপের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম