Logo
Logo
×

খবর

চট্টগ্রামে বিভিন্ন মহলের শোক

অর্থনীতিতে নুরুল ইসলামের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অর্থনীতিতে নুরুল ইসলামের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে

যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। পৃথক শোক বিবৃতিতে তারা বলেন, নুরুল ইসলাম দেশের অন্যতম শিল্প উদ্যোক্তা ছিলেন।

তার মৃত্যুতে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। দেশপ্রেমিক, সৎ ও চিন্তাশীল উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি দেশবাসীর হৃদয়ে বহুকাল বেঁচে থাকবেন। লাখো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের বিদায়ে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা কখনই পূরণ হওয়ার নয়।

শোক প্রকাশ করে যারা বিবৃতি দিয়েছেন তারা হলেন- জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম বন্দর-পতেঙ্গা আসনের এমপি এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহববুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বিএফইউজের সাবেক সহসভাপতি শহীদ উল আলম, বর্তমান সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সহসভাপতি এমএ সালাম এবং সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রহুল আমিন।

সামশুল হক চৌধুরী বলেন, শত শত কোটি টাকা ট্যাক্স দিয়ে যারা দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছেন শিল্পপতি নুরুল ইসলাম তাদের অন্যতম। তাছাড়া তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও কমিটমেন্ট থেকে দেশেই তিনি হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘নুরুল ইসলামের অপূর্ণ স্বপ্ন তার সন্তানরা বাস্তবায়ন করবেন বলে আশা রাখি।’

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের মতো শিল্পপতির জন্ম সব সময় হয় না। তারা ক্ষণজন্মা। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে লাখো মানুষের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করেছেন তিনি। মেয়র যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।’

চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুব আলম বলেন, ‘যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ছিলেন কর্মসংস্থান সৃষ্টির একজন দক্ষ কারিগর। তিনি আপাদমস্তক একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশের ব্যবসায়ী সমাজ একজন বড়মাপের শিল্পোদ্যোক্তা এবং এই সেক্টরের অভিভাবককে হারাল। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সব সময় কথা বলতেন।’

এমএ সালাম বলেন, ‘যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের নতুন নতুন ব্যবসার উদ্ভাবনী শক্তি ছিল। আজ থেকে ২০ বছর আগে নিটিং ও ডায়িং সেক্টরে যে বিশাল বিনিয়োগ তিনি এনেছিলেন তা এ সেক্টরের ব্যবসায়ীরা ভুলবে না। তিনি একজন সফল এন্টারপ্রেনার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন।’

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নুরুল ইসলাম জীবদ্দশায় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিরলস কাজ করেছেন। একইসঙ্গে দৈনিক যুগান্তর এবং যমুনা টেলিভিশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি শত শত সাংবাদিককে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এই কীর্তিমান ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে দেশের অপূণীয় ক্ষতি হল।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ছিলেন একজন অকুতোভয় সাহসী ব্যবসায়ী। তার প্রতিষ্ঠিত যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশন গণমানুষের গণদাবির কথা সব সময় তুলে ধরেছে। কোনো রক্তচক্ষুকে তিনি ভয় পাননি। সবসময় সত্য প্রকাশে আপসহীন ছিলেন।

রাজনীতি, সমাজনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য- সব ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন চিন্তাশীল মানুষ। এছাড়া জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শামসুল আলম মাস্টার, কর্ণফুলী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুস সাত্তার রণি, বোয়ালখালী উপজেলা সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, পটিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ রফিক, ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান মাওলানা এমএ মান্নান ও মহাসচিব এমএ মতিন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

চট্টগ্রাম বাবুল শোক

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম