Logo
Logo
×

খবর

‘রিজেন্ট গ্রুপ’ নিয়েও প্রতারণা সাহেদের

স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীতেও প্রতারণা করে : ডিবি

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

‘রিজেন্ট গ্রুপ’ নিয়েও প্রতারণা সাহেদের

রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিম ‘রিজেন্ট গ্রুপ’ নাম নিয়েও প্রতারণা করেছেন। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠান রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ (আরজেএসসি) থেকে নিবন্ধিত কোম্পানি রিজেন্ট গ্রুপের। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ১৯৮১ সালে তাদের কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়। অথচ সাহেদ এই গ্রুপ ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিজেন্ট ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডকে নিজের উল্লেখ করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন।
সাহেদকে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন। তিনি বলেন, মো. সাহেদের বিরুদ্ধে চিকিৎসাকর্মীদের জন্য সরবরাহ করা স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিয়েও প্রতারণার তথ্য পাওয়া গেছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতসহ অন্যান্য খাতে প্রতারণার প্রমাণ তদন্তে পাওয়া যাচ্ছে। যেসব অনিয়ম পেয়েছি তা আইনানুযায়ী মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরকে জানাব।
রিজেন্ট গ্রুপ থেকে শনিবার বলা হয়, সাহেদের অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে ‘রিজেন্ট গ্রুপ’ নাম ব্যবহারে তারা অত্যন্ত বিব্রত। কারণ রিজেন্ট গ্রুপ ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত। প্রতারক সাহেদ করিম রিজেন্ট গ্রুপ এবং অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিজেন্ট ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের নাম তার ওয়েবসাইট ও ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে ব্যবহার করেছেন। কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় মেরিন ড্রাইভ রোডে রিজেন্ট গ্রুপের সাইনবোর্ড লাগানো কেনা জায়গার সামনে ছবি তুলে তা নিজের ফেসবুকে ‘প্রজেক্ট ভিজিট’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এতে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গ্রুপটির কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট জুয়েল রানা বলেন, রিজেন্ট গ্রুপের নাম ব্যবহার করার কারণে ২০১৫ সালে রেজিস্টার্ড ডাকযোগে সাহেদের কোম্পানিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। তাকে এই নাম না ব্যবহার করতে বলা হয়। কোম্পানির সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার জন্য ২০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের মামলা করা হবে বলেও ওই নোটিশে জানানো হয়। কিন্তু ক্ষমতাশালীদের কাছের মানুষ হওয়ায় সাহেদ আইনের তোয়াক্কা না করে রিজেন্ট গ্রুপের নামে তার কুকর্মগুলো চালাতে থাকেন। এর ফলে আমাদের ব্যবসায় সুনামের ক্ষতি হয় এবং নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, সাহেদ ফেসবুকে ভুয়া কোম্পানির নামে পেজ খুলে প্রতারণা করতেন। ফেসবুকে আলবার্ট গ্লোবাল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি নামের পেজ খুলে এই করোনাকালে পিপিই, মাস্ক ও ডেথ বডি ক্যারিয়ার ব্যাগ সাপ্লাই দিয়েছেন। স্বাস্থ্য খাতে তিনি প্রায় ৫০ হাজার পিপিই, ১ লাখ মাস্ক ও ২০ হাজার বডি ক্যারিয়ার ব্যাগ সরবরাহ করেছেন। তদন্তে আলবার্ট গ্লোবাল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি নামের কোনো গার্মেন্টসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তিনি সাব-কন্ট্রাক্টে ছোট গার্মেন্টস ও ফ্যাক্টরি থেকে নিম্নমানের কাপড় দিয়ে এসব সুরক্ষা সামগ্রী তৈরি করিয়েছিলেন। আমরা ধারণা করছি, তার সাপ্লাই দেয়া নিম্নমানের এসব সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করে প্রথমদিকে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে এ বিষয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনে র‌্যাবের কাছে সাহেদের বিরুদ্ধে ৯২টি অভিযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ফোনে ৭২টি ও ই-মেইলে ২০টি। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

‘রিজেন্ট গ্রুপ’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম